ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরভোটে ভোটার পিছু নির্বাচনী খরচ বাড়াল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এক জন প্রার্থী তাঁর ওয়ার্ডের ভোটার পিছু সর্বাধিক আট টাকা করে খরচ করতে পারবেন। গত বার যা ছিল ছ’টাকা। এখন তা আরও দু’টাকা বৃদ্ধি পেল। অর্থাৎ ২০১৩ সালের নির্বাচনে কোনও প্রার্থী প্রতি ভোটার অনুযায়ী যদি ছয় টাকা খরচ করতেন, এখন তিনি আট টাকা খরচ করতে পারবেন।
নির্বাচনী প্রচারে বিভিন্ন ধরনের খরচ করেন প্রার্থীরা। কোথাও জনসভা, কোথাও রোড-শো, আবার কোথাও পোস্টার এবং ব্যানার দিয়ে চলে প্রচার। এই সব প্রচারের জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেটি মাত্রাছাড়া নয়। ওই সব প্রচার এবং একটি প্রার্থীর নির্বাচনের আনুষঙ্গিক খরচ নির্দিষ্ট ভাবে বেঁধে দেয় নির্বাচন কমিশন। এবং সবটাই হয় আইন মোতাবেক। সেই টাকার বাইরে খরচ করলেই সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে তার দায় নিতে হয়। এমন অনেক ক্ষেত্রে শাস্তির উদাহরণও রয়েছে। সেই মতো প্রতি নির্বাচনের আগে রিটার্নিং অফিসাররা ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে প্রার্থীদের উপর নজর রাখেন। তিনি বেআইনি ভাবে অর্থের ব্যবহার দেখলে কমিশনকে রিপোর্ট করেন। তার পর কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
কলকাতা পুরভোটের ক্ষেত্রেও এমন একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, কোনও ওয়ার্ডে ১০ হাজার পর্যন্ত ভোটার থাকলে সেখানে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকা খরচ করতে পারবেন কোনও প্রার্থী। ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে ভোটার হলে ভোটার পিছু আট টাকা করে খরচ করা যাবে। আর কোনও ওয়ার্ডে ৫০ হাজারের বেশি ভোটার হলে নির্বাচনের জন্য কোনও প্রার্থী খরচ করতে পারবেন সর্বাধিক ৪ লক্ষ টাকা।
২০১৩ সালের পুরসভা ভোটে ওই অঙ্কটা ছিল আলাদা। তখন ১০ হাজার পর্যন্ত ভোটারের ক্ষেত্রে ৬০ হাজার টাকা এবং ৫০ হাজার পর্যন্ত ভোটারের ক্ষেত্রে মাথাপিছু ছয় টাকা এবং তার বেশি ভোটারের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৩ লক্ষ টাকা ব্যবহার করার নিয়ম ছিল। এখন সেই নিয়মেই পরিবর্তন করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।