কলকাতায় এলেন আলেমাও চার্চিল। ফাইল চিত্র।
কলকাতায় এসে পৌঁছলেন গোয়া বিধানসভার এনসিপি বিধায়ক আলেমাও চার্চিল। সূত্রের খবর, সোমবার রাতেই কলকাতায় এসেছেন গোয়ার ওই নেতা। মঙ্গলবার নবান্ন বন্ধ থাকার কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কালীঘাটের বাড়িতেই থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে যেতে পারেন আলেমাও। সেখানেই তিনি যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে।
আলেমাও গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়া বিধানসভার নির্বাচন। আর সেই ভোটে গোয়ায় একক শক্তিতে তৃণমূল লড়াই করবে। তাই এখন থেকেই ঘর গোছানো শুরু করেছে তারা। ইতিমধ্যে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেরিও তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড় লিয়েন্ডার পেজ ও কংগ্রেস নেত্রী নাফিসা আলিও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মমতার গোয়া সফরেই। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও গোয়ায় থেকে সংগঠন বাড়ানোর কাজ করছেন বর্তমানে।
সেই আবহে আলেমাওয়ের যোগ দিলে তৃণমূল শিবিরের জোর অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন দলীয় নেতৃত্ব। কারণ গোয়ার রাজনীতিতে চার্চিল পরিবারের প্রভাব যথেষ্ট। সেই প্রভাব ভোটে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূলও। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও আলেমাও তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়ের হাত ধরে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে দক্ষিণ গোয়া লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থীও হয়েছিলেন। কিন্তু ২.৯১ শতাংশ ভোট পেয়ে জমানত খুইয়েছিলেন তিনি। তারপরেই তৃণমূল ছেড়ে তিনি যোগ দেন শরদ পওয়ারের এনসিপি-তে। গোয়া বিধানসভায় তিনি এখন এনসিপির একমাত্র বিধায়ক। আবারও বিধানসভা ভোটের আগের তাঁর তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।