Tele Medicine

Tele Medicine: দেশে টেলি মেডিসিন পরিষেবায় দু’নম্বরে, এক বছরের মধ্যেই অনন্য নজির রাজ্যের

২০২১ সালের ২ আগস্ট রাজ্যে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে টেলি-মেডিসিন পরিষেবা চালু হয়। সাতশোরও বেশি চিকিৎসক এই প্রকল্পে যুক্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২২ ০৬:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রত্যন্ত অঞ্চলেও চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই রাজ্যে টেলি-মেডিসিন পরিষেবা শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’ নামের সেই প্রকল্পে সম্প্রতি যুক্ত করা হয়েছে স্ট্রোকে আক্রান্তের চিকিৎসাও। কেন্দ্রীয় সরকার আয়োজিত এক সমীক্ষায় সেই টেলি-মেডিসিন পরিষেবায় দেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ।

Advertisement

শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, “অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও যাতে চিকিৎসা পরিষেবা পান, তার জন্য টেলি-মেডিসিন পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। তাতে বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। সেখানে এই স্বীকৃতি অনেক বড় প্রাপ্তি। এই সম্মান আগামী দিনে আরও বেশি মানুষের কাছে টেলি-মেডিসিন পরিষেবা পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।”

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ২০২১ সালের ২ আগস্ট রাজ্যে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে টেলি-মেডিসিন পরিষেবা চালু হয়। সারা রাজ্যে ৪০৪১টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চালু করা হয় ওই পরিষেবা। সাতশোরও বেশি চিকিৎসককে সেই প্রকল্পে যুক্ত করা হয়। গত এক বছরে ৩৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৪২ জন ওই পরিষেবার সুবিধা পেয়েছেন।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, অতিমারি পর্বের গোড়ায় অধিকাংশ চিকিৎসক ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ করে দেন এবং হাসপাতালেও চাপ ক্রমাগত বাড়ছিল। সংক্রমণের হারও ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সে সময় টেলি-মেডিসিনের মাধ্যমে ঘরে বসেই বহু রোগী চিকিৎসা পান। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যে টেলি-মেডিসিন পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়।

এক স্বাস্থ্য কর্তার কথায়, “প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরিষেবা পৌঁছে দিতে টেলিমেডিসিন ব্যবস্থাপনা একমাত্র পথ। ডায়াবিটিস, রক্তচাপ, ক্যানসার থেকে শুরু করে বিভিন্ন নন-কমিউনিকেবল ডিজ়িজ়ের (সংক্রামক নয় এমন রোগ) চিকিৎসা টেলি-মেডিসিন ব্যবস্থাপনায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়।’’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্ট্রোকের ক্ষেত্রেও এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এ দিন সকালেই ৬৫ বছরের এক ব্যক্তিকে অচৈতন্য অবস্থায় বারাসত জেলা হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সিটি স্ক্যান করে সেটি স্বাস্থ্য ইঙ্গিত পোর্টালে আপলোড করা হয়। তা দেখে বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস-এর চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো রোগীকে ইঞ্জেকশন-সহ নানা ওষুধ দেন জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। বিকেলেই সুস্থ হয়ে ওঠেন ওই ব্যক্তি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement