ফাইল চিত্র।
বছর দুয়েক আগে ‘জিয়োগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন’ বা জিআই তকমা জুটেছিল। কিন্তু রসগোল্লা নিয়ে বাংলার কয়েকটি দাবি ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। রীতিমতো আট ঘাট বেঁধে লড়তে নেমেছিল পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান চর্চা বিকাশ নিগম। ‘বাংলার রসগোল্লা’র জিআই তকমা লাভের দু’বছর পূর্তির মুখে বৃহস্পতিবার সেই স্বীকৃতি বলা যায় ‘কলুষমুক্ত’ হল।
২০১৭-র ১৪ নভেম্বর জিআই-কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি পায় বাংলার রসগোল্লা। গত জুলাইয়ে ওড়িশাও জিআই-তকমা পায় তাদের ‘রসগোলা’র জন্য। দু’টি মিষ্টির আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যও উঠে আসে। কিন্তু ‘বাংলার রসগোল্লা’র হয়ে পেশ করা দাবির কয়েকটি দিক নিয়ে আপত্তি তোলেন রমেশচন্দ্র সাহু নামে ভুবনেশ্বরের এক বাসিন্দা। বাংলাই প্রথম ‘ছিন্ন হওয়া দুধ’ বা ছানাকে দেবতার ভোগে নিবেদন করে, এই যুক্তি দেখিয়ে রসগোল্লার উৎপত্তি বাংলায় বলে দাবি করা হয়। রমেশবাবু এই দাবি সংশোধনের আর্জি জানান। তাঁর দাবি, জগন্নাথধামে রসগোল্লা ভোগের ঐতিহ্য বহু প্রাচীন। তবে জগন্নাথধামের সেই রসগোল্লা আদৌ ছানার গোল্লা কি না, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
চেন্নাইয়ে জিআই নথিভুক্তির দফতরে চূড়ান্ত শুনানি ছিল ২১ অক্টোবর। জিআই সংক্রান্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার চিন্নারাজা জি নায়ডু এ দিন চেন্নাই থেকে বলেন, ‘‘বাংলার রসগোল্লা নিয়ে আপত্তির পক্ষে যুক্তি সাজাতে আবেদনকারীরা অন্তত ৪০ দিন দেরি করেছেন। তাই আপত্তি খারিজ হয়ে গিয়েছে।’’ তবে বাংলার রসগোল্লার জিআই তকমা সংশোধনের আর্জির যৌক্তিকতা তাঁরা বিচার করেননি বলে জানান নায়ডু।