এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মালদহের চাঁচলের আমবাগানে পুড়িয়ে দেওয়া মহিলার পরিচয় জানতে পারল পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আগেই উদ্ধার হয়েছিল রক্তমাখা ছুরি, নাকছাবি, হার ইত্যাদি। এ বার ঘটনাস্থলের অদূরের জলাশয় থেকে একটি ব্যাগ খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। তার ভিতরে আধার এবং ভোটার কার্ড ছিল। সেখান থেকে মৃতার পরিচয় জানার পর তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যেরা চাঁচল থানায় যোগাযোগ করেন। এক প্রৌঢ় জানিয়েছেন, মৃত মহিলা তাঁরই সন্তান।
জানা গিয়েছে, মৃতার বাপের বাড়ি চাঁচল থানারই দক্ষিণ শহর এলাকায়। বছর দশেক আগে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকায় তাঁর বিয়ে হয়েছিল। মহিলার দুই সন্তানও রয়েছে। তবে বেশ কয়েক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তাঁর। বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, তাঁরা প্রাক্তন জামাইয়ের খোঁজখবর রাখেন না। আবার তাঁদের বাড়ির মেয়ের খুনের ঘটনায় যে ব্যক্তিকে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া স্টেশন থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তাঁর সম্পর্কেও কোনও খোঁজখবর দিতে পারেননি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, অভিযুক্ত আবু তাহেরের সঙ্গে ওই মহিলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কোনও গন্ডগোল থেকে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
মালদহের জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সামসি স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে ধৃত যুবকের সঙ্গে এক জন মহিলাকে দেখা গিয়েছিল। পরে স্টেশন থেকে ওই যুবক যখন বেরিয়ে যান, তখন আর মহিলাকে দেখা যায়নি। বাকিটা তদন্তসাপেক্ষ। তবে পুলিশ মনে করছে, বৃহস্পতিবার রাতেই খুন করা হয়েছিল চাঁচলের বাসিন্দা ওই মহিলাকে। প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেন খুনি। যে জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটি মালতীপুরে চাঁচল-২ ব্লক অফিসের কাছে। সেখানে খড়ের গাদার ভিতরে ছিল দেহটি। পুলিশ সূত্রের খবর, ছুরির পাশাপাশি জুতো, নাকছাবি এবং একটি হার উদ্ধার হয়েছে। পুকুরপাড়ে সিঁদুরও পড়ে থাকতে দেখা যায়। জেলা পুলিশ সুপার জানান, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মহিলার ডিএনএ পরীক্ষার পাশাপাশি ফরেন্সিক পরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরিবারের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।