— প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন আগামী ৮ জুলাই। চলছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর্ব। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, প্রথম দু’দিনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার নিরিখে বাকিদের অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিপিএম। অনেক পিছিয়ে তৃণমূল।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব। চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ পর্যন্ত আরও বাড়ানো হবে কি না তা জানা না গেলেও প্রথম দু’দিনের প্রবণতা বলছে, মনোনয়ন জমা দেওয়ায় বাকিদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে বিজেপি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শুক্র ও শনিবার— এই দু’দিন মিলিয়ে মনোনয়ন জমা পড়েছে মোট ১১,১২৮টি। এর মধ্যেই রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ। কমিশনের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত বিজেপি একাই মনোনয়ন দিয়েছে ৪,৯০৩টি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিপিএম। তারা এই দু’দিনে মনোনয়ন জমা করেছে ৪,২৪৯টি। তৃতীয় স্থানে কংগ্রেস, তারা ৭১৭টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে। বহু পিছিয়ে রয়েছে শাসকদল তৃণমূল। তারা এই দু’দিনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে মোট ৬৩৩টি।
রাজ্যে মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৩,৩১৭টি, পঞ্চায়েত সমিতি ৩৪১টি এবং জেলা পরিষদের সংখ্যা ২০টি। মোট ভোটার ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ২১ হাজার ২৩৪। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দু’দিনে বিজেপি জেলা পরিষদের আসনে ৪১টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৬২৪টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪,২৩৮টি। সিপিএম জেলা পরিষদের ৯৪টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৫১৭টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩,৬৩৮টি মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে। অন্য দিকে, তৃণমূল জেলা পরিষদে একটি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ১১০টি এবং ৫২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে বিরোধীরা। এ ক্ষেত্রে অবশ্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দু’দিনে তার কোনও ছায়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। বরং, শাসক তৃণমূলের চেয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বহু এগিয়ে রয়েছে বিজেপি, সিপিএম। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী সোমবার থেকে দলের তরফে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হবে। সূত্রের খবর, ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থায় প্রায় ৬৫ হাজার দলীয় প্রার্থীর কাছে দলের অনুমোদনের ফর্ম পাঠানো হবে। সোমবারের মধ্যে গোটা চিত্রটি পরিষ্কার হয়ে যাবে।