রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। — ফাইল চিত্র।
সর্বদল বৈঠক ডাকলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। শনিবার কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৩ জুন বিকেল ৪টের সময় সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে।
গত বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে রাজীবের নামে সিলমোহর দেয় রাজভবন। দায়িত্ব নেওয়ার পর দিনই পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন তিনি। বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক না করে রাজীব অনৈতিক ভাবে ভোটের দিন ঘোষণা করেছেন। জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, ‘‘ভোটঘোষণার আগে সর্বদল বৈঠক করতে হবে, এমন কোনও আইন নেই।’’
শনিবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের সন্ত্রাসের পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। ভোটের সময় পুলিশি নিরাপত্তা নিয়েও যে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সন্তুষ্ট নয়, তা-ও রাজ্যপালকে জানিয়ে এসেছিলেন সুকান্ত।
বিজেপি সভাপতির রাজভবন ছাড়ার পরেই রাজ্যপালের কাছে যান নির্বাচন কমিশনার। সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই কমিশন থেকে সর্বদল বৈঠকের দিনক্ষণ জানানো হয়। যদিও, কমিশনারের রাজভবন যাওয়ার সঙ্গে সর্বদল বৈঠকের কোনও যোগ নেই বলেই জানাচ্ছে কমিশনের একটি সূত্র। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের প্রথম দিন বিভিন্ন জেলার রিটার্নিং অফিসারের দফতরগুলিতে চূড়ান্ত ‘অব্যবস্থা’ হচ্ছে বলে শনিবার কমিশনে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বামফ্রন্ট। খড়গ্রামে দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় দফায় দফায় দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের নেতারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কমিশনের দফতরের বাইরে। বিজেপি আবার পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের সন্ত্রাস রুখতে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে শনিবার। সঙ্গে একটি ইমেল আইডি-ও দেওয়া হয়েছে, যেখানে কর্মীরা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা জানাতে পারবেন। কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের কথা শুনতেই কমিশন ১৩ তারিখে সর্বদল বৈঠক ডেকেছে।