প্রতীকী ছবি।
করোনা-কাঁপুনিতে সব স্কুলই বন্ধ। কিন্তু তার মধ্যেই কোনও কোনও স্কুল ফি বাড়ানোর তোড়জোড় করছে বলে অভিযোগ। আবার এই কালবেলায় কোনও ছাত্র বা ছাত্রীর যদি নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে ফি বা বেতন জমা দিতে কোনও রকম অসুবিধা হয়, তা বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন কলকাতার বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষ। কিছু স্কুল জানিয়ে দিয়েছে, ফি দিতে দেরি হলে জরিমানা করা হবে না। কোনও কোনও স্কুল আবার বেতন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, কয়েকটি বেসরকারি স্কুল করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও পড়ুয়াদের বেতন বাড়াচ্ছে বলে অভিভাবকেরা তাঁর কাছে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি জানার পরে শিক্ষামন্ত্রী এক ভিডিয়ো-বার্তায় বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে বেসরকারি স্কুলগুলো যাতে ফি না-বাড়ায়, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এ ছাড়া আর্থিক কারণে কোনও অভিভাবক যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফি দিতে অপারগ হন, তা হলে বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করতে অনুরোধ করছি।’’
শ্রীশিক্ষায়তনের মহাসচিব ব্রততী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেতন জমা দিতে না-পারলে জরিমানা নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে সময়সীমা বাড়ানো হবে।’’ এপিজে স্কুলের অধ্যক্ষা রিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল থেকে বাড়িয়ে ১৫ মে করে দিয়েছি।’’ সাউথ পয়েন্ট স্কুলের বেতন-কাঠামো বৃদ্ধি নিয়ে অভিভাবকেরা বেশ কয়েক মাস ধরেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
ওই স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের কী ভাবে একটু স্বস্তি দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছি।’’ লা মার্টিনিয়ারের সচিব সুপ্রিয় ধর জানান, তাঁদের স্কুলে কোন শ্রেণির
বেতন-কাঠামো কী হবে, সেটা অনেক দিন আগেই ঠিক হয়ে যায়। ‘‘তবে এই পরিস্থিতিতে কোনও পড়ুয়ার কোনও ধরনের অসুবিধা হলে সেটা নিশ্চয়ই বিবেচনা করা হবে,’’ আশ্বাস দিয়েছেন সুপ্রিয়বাবু।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)