ছবি: পিটিআই।
১০৫টি ট্রেনে করে ১৬টি রাজ্য থেকে আটকে পড়া মানুষ এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের আনার পরিকল্পনা আগেই করেছিল রাজ্য সরকার। এ বার আরও ১২০টি ট্রেনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী দিন দু’য়েকের মধ্যে তা চূড়ান্ত হবে। সোমবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সব মিলিয়ে প্রায় ২৩৫টি ট্রেনে বাইরের রাজ্য থেকে আটকে থাকা যে মানুষেরা আসবেন, তার সব খরচই বহন করবে রাজ্য সরকার।
সরকারের দাবি, ইতিমধ্যেই ট্রেনে এবং বাসে করে আড়াই-তিন লক্ষের মতো মানুষ এসে পৌঁছেছেন। ১৫টি ট্রেনের এক-একটিতে প্রায় ১৮০০ মানুষ ফিরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, প্রতিদিন ১০টি করে ট্রেন রাজ্যে এলে ২৫-৩০ হাজার করে মানুষ ফিরতে পারবেন।
এক দিকে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরতে চাইছেন, তার মধ্যেই রয়েছে সাইক্লোনের পূর্বাভাস। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে সরকারের সামনে। যাঁরা ফিরছেন, তাঁদের জন্য ব্যবস্থা করা, যে সব জায়গায় তাঁদের পৌঁছনোর কথা, সেখানকার বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করার কাজও করতে হচ্ছে সরকারকে। এর মধ্যে অযথা রাজনীতি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মৃতদেহের সঙ্গে এক ট্রাকে তিন শ্রমিক
আরও পড়ুন: তিন সঙ্কটের ঘনঘটা, রাজ্যের সামনে ৩ চ্যালেঞ্জ
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘ঝড়ের সঙ্গে লড়ব, নাকি যাঁরা ফিরছেন তাঁদের দেখব! হাজার হাজার করোনা ঢোকালে মানুষ ক্ষমা করবে? পরিকল্পনা করে কাজটা করার সুযোগ সরকারকে দিন। যাঁরা আসবেন, তাঁরা যেন সরকারকে জানিয়ে আসেন। সন্ধ্যা সাতটা থেকে সকাল সাতটার মধ্যে আসবেন না।’’
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন ফের জানিয়েছেন, ট্রেনে করে আটকে থাকা মানুষদের ফেরার খরচ বহন করবে রাজ্যই। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারে যাঁরা আছেন, বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন, লজ্জা করে না? পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে টাকা নিচ্ছেন! আগে একটা ট্রেন প্রতি সাড়ে সাত লক্ষ টাকা নিতেন, এখন তা ১০ লক্ষ করে দিয়েছেন! যাদের আমরা নিয়ে আসছি, তাদের পুরো ভাড়াটাই আমরা দিয়ে দিচ্ছি।’’