অ্যাডিনোভাইরাস রুখতে ১০ জন নোডাল অফিসারের নাম তাঁদের মোবাইল নম্বর-সহ প্রকাশ করল স্বাস্থ্যভবন। ফাইল ছবি।
অ্যাডিনোভাইরাস রুখতে ১০ জন নোডাল অফিসারের নাম তাঁদের মোবাইল নম্বর-সহ প্রকাশ করল স্বাস্থ্যভবন। নোডাল অফিসার পদে যে চিকিৎসকেরা থাকবেন, তাঁরা নিজেদের কাজের পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের ‘এআরআই হেল্প সেল’এ কাজ করবেন।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা (অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন বা এআরআই)-র ফলে রাজ্যে বেশ কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই সমস্যা মোকাবিলায় মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল-সহ সমস্ত সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এআরআইয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ বিষয়ে হাসপাতাল থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কথাও বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টার জন্য এআরাইতে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে। ওপিডিতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসা করাতে আসে। তাদের যাতে বেশি ক্ষণ অপেক্ষা করতে না হয়, তাই এআরআইতে আক্রান্তদের জন্য আলাদা ক্লিনিকের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালেই ২৪ ঘণ্টার জন্য এই পরিষেবা চালু করতে হবে। সব হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে এক জন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞকে উপস্থিত থাকতে হবে। ওপিডি শেষ হয়ে গেলেও থাকতে হবে তাঁকে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, হাসপাতালের সুপারের সুপারিশ ছাড়া কোনও অসুস্থ শিশুকে সেখান থেকে রেফার করা যাবে না। যেখানে পাঠানো হচ্ছে, সেখানে শয্যা রয়েছে কিনা, জেনে নিতে হবে। ভেন্টিলেটর-সহ শিশুদের যাবতীয় চিকিৎসা সামগ্রী মজুত রাখতে হবে। প্রতি দিন নজরদারি চালাতে হবে। সিনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি সিনিয়র রেসিডেন্ট-সহ জুনিয়র চিকিৎসকদেরও এই ক’দিন এআরআই আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় নিয়োগ করতে হবে।