দক্ষিণেশ্বর ঘুরে দেখে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন আনন্দ বোস। নিজস্ব চিত্র।
‘হাতে খড়ি’ অনুষ্ঠানে তাঁর মুখে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সেই বিতর্ক শেষ হওয়ার আগেই দিল্লি সফর সেরে ফিরেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এ বার সেই তিনিই বাংলায় সংহতি যাত্রা শুরু করলেন বলেও জানালেন। সঙ্গে গাঙ্গেয় বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শনে যেতে চান। রবিবার দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরে পুজো দিতে যান রাজ্যপাল। মন্দির কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে গিয়ে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি, যান রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলিতেও, পাশাপাশি ঘুরে দেখেন মন্দির চত্বর। তাঁর রাজধানী সফর নিয়ে একঝাঁক প্রশ্নের মুখে পড়েন রাজ্যপাল। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
দক্ষিণেশ্বর ঘুরে দেখে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন আনন্দ বোস। সেই সঙ্গে রাজ্যপাল নিজের সংহতি যাত্রার কথা ঘোষণা করে দেন। আনন্দ বোস বলেন, ‘‘দক্ষিণেশ্বর ভারতীয় সংস্কৃতির একটি অন্যতম পীঠস্থান। সেখানে থেকেই সংহতি যাত্রা শুরু করব। বাংলার সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে।’’ তবে নিজের এই সংহতি যাত্রা প্রসঙ্গে বেশি কিছু বলতে চাননি রাজ্যপাল। পশ্চিমবঙ্গকে আবারও নিজের দ্বিতীয় বাড়ি বলেছেন তিনি। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত স্থানে বছরে একবার করে যাওয়া ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন আনন্দ বোস।
পরে মন্দির কমিটির সদস্য কুশল চৌধুরী বলেন, ‘‘রাজ্যপাল মন্দির ঘুরে দেখে অভিভূত। দেবালয়ে এসে দেবীদর্শন করে মন্দির এলাকা ঘুরে দেখেছেন তিনি। এখান থেকেই তিনি ঘোষণা করেছেন, বাংলায় সম্প্রীতি যাত্রা, ইউনিটি যাত্রা করবেন। যাতে বাংলার মানুষের সঙ্গে ওনার যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ হয়। উনি বাংলার সংস্কৃতিকে জানতে পারেন।’’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘‘গঙ্গাপার্শ্বের বিস্তীর্ণ জনপদগুলি উনি পর্যবেক্ষণ করতে করতে যাত্রা করবেন। রাজ্যপাল আশা করছেন, তাঁর এই যাত্রার ফলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে।’’ বিকেলে উত্তর কলকাতার মাদার হাউসে যান রাজ্যপাল।