প্রতীকী ছবি।
শহরের বাইরে বিভিন্ন সড়কে দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে এ বার নাগরিকদের হাত ধরতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। সূত্রের খবর, রাজ্যের ৩৬৪টি দুর্ঘটনাপ্রবণ ও জনবহুল স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সব এলাকার দোকানদার, বাসচালক, খালাসিদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে স্বাস্থ্য দফতর ও রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশ। কাল, মঙ্গলবার এই ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে পুলিশের বৈঠক হওয়ার কথা।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, রাজ্য বা জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে তাঁর দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন থাকলেও বাস্তবে তা হয় না বললেই চলে। অনেক ক্ষেত্রে খবর পেয়ে পুলিশের পৌঁছতে পৌঁছতে চিকিৎসায় অনেক দেরি হয়ে যায়। প্রশিক্ষণ থাকলে স্থানীয় বাসিন্দারা অনায়াসে এটা করতে পারেন। পুলিশ ও চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দুর্ঘটনার পরের প্রথম ৪৫-৬০ মিনিট খুব জরুরি। যাকে চিকিৎসার ভাষায় ‘গোল্ডেন আওয়ার’ বা সুবর্ণ সময় বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে চিকিৎসা শুরু হলে বহু ক্ষেত্রেই প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। নচেৎ তুলনায় ছোট দুর্ঘটনাতেও বিপদ ঘটতে পারে।
অনেকেরই প্রশ্ন, ‘পুলিশি হেনস্থা’র ভয়ে অনেকেই এই কাজে এগোতে চান না। তা হলে এই প্রশিক্ষণ দিয়ে কতটা লাভ হবে? রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে ‘গুড সামারিটান অ্যাক্ট’ (বিপদবন্ধু আইন) রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এই ধরনের উদ্ধারকারীকে কোনও আইনি জটিলতায় পড়তে হবে না। সে-কথাও প্রশিক্ষণে বলা হবে।’’
রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশের খবর, প্রথম দফায় রয়েছে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের বর্ধমানের জামালপুর থেকে গলসি পর্যন্ত ছ’নম্বর জাতীয় সড়কের হাওড়া (গ্রামীণ) এলাকা। এ ছাড়াও মালদহের বৈষ্ণবনগর থেকে ডালখোলা, বিটি রোডের মতো এলাকায় জায়গা বাছাই করা হয়েছে। ওই সব এলাকার দোকানদার, খালাসি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বেছে নিয়ে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই প্রশিক্ষণ দেবেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। শিক্ষার্থী বাছাই করতে বলা হয়েছে স্থানীয় থানাগুলিকে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।