(বাঁ দিকে) মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য চালাপাতি সংঘর্ষে নিহত। (ডান দিকে) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি: সংগৃহীত।
ওড়িশা-ছত্তীসগঢ় সীমানায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে রাতভর গুলির লড়াইয়ে নিহত হলেন ২০ মাওবাদী। তাঁদের মধ্যে এক জনের মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, এই সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন জয়রাম ওরফে চলপতি। তিনি মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
এই অভিযানকে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এক্স করে জানান, ‘‘আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়তে আরও একটা বড় সাফল্য পেল। সিআরপিএফ, ওড়িশার এসওজি, ছত্তীসগঢ় পুলিশের যৌথ অভিযানে ওড়িশা-ছত্তীসগঢ় সীমানায় ১৪ মাওবাদী নিহত হয়েছেন।’’
গত কয়েক দিন ধরে আন্তঃরাজ্য অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথবাহনী সোমবার ওড়িশার নওপাড়া এবং ছত্তীসগঢ়ের গরিয়াবন্দের সীমানায় মাওবাদীদের জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে অভিযানে যায়। সোমবার রাতে তল্লাশি অভিযানের সময় বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকেন মাওবাদীরা। তাঁদের ঘিরে ফেলে পাল্টা জবাব দেয় যৌথবাহিনীও।
রাতভর দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। পুলিশ জানিয়েছে, এই সংঘর্ষে ২০ মাওবাদী নিহত হয়েছেন। তবে দলে কত জন মাওবাদী ছিলেন তা স্পষ্ট নয়। ওই সীমানা এলাকায় জঙ্গলে মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গোপন সূত্রে যৌথবাহিনী খবর পেয়েছিল যে, সীমানা এলাকার জঙ্গল থেকে মাওবাদীরা হামলার ছক কষছে। সেই খবর পেয়েই ওড়িশা এবং ছত্তীসগঢ়ের সীমানায় পৌঁছয় যৌথবাহিনী। তার পরই সংঘর্ষ শুরু হয়।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে আন্তঃরাজ্য অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। সোমবারের এই অভিযানে বিপুল অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। তবে ওড়িশা পুলিশের দাবি, আরও বেশি সংখ্যক মাওবাদী নিহত হয়েছেন এই সংঘর্ষে। সোমবারই ছত্তীসগঢ়ের গরিয়াবন্দ জেলায় অভিযান চালানোর সময় সংঘর্ষে মৃত্যু হয় মাওবাদীদের গেরিলা বাহিনীর দুই সদস্যের। গত ১৭ জানুয়ারি ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে আহত হন কোবরা বাহিনীর দুই জওয়ান। সিআরপিএফের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনী ‘কোবরা’র ২০৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ডোরা রাজ্য সশস্ত্র পুলিশবাহিনীর সঙ্গে বিজাপুরের বাসাগুড়া থানার গভীর জঙ্গলে অভিযানে গিয়েছিলেন। সে সময় নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-এর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র পাতা আইইডি বিস্ফোরণে জখম হয়েছিলেন ওই দুই জওয়ান।