প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার চতুর্থ দফার বরাদ্দ পাবে কি রাজ্য? —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
প্রস্তাব তৈরি। কিন্তু প্রায় দেড় লক্ষ কোটির মধ্যে কিছু অংশ কি আসবে রাজ্যের ভাগে—প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (পিএমজিএসওআই)-র চতুর্থ তথা পরবর্তী ধাপের পরিকল্পনা চলাকালীন এমনই চর্চা তৈরি হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। তবে জাতীয় গুণমান পরীক্ষায় চালু এবং সম্পূর্ণ হওয়া কাজ ও তার রক্ষণাবেক্ষণে এ রাজ্যের অবস্থান খুব একটা ভাল নয়। তা কী ভাবে কাটানো সম্ভব, চর্চা রয়েছে তা নিয়েও।
প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, এত দিন পিএমজিএসওআই-এর তৃতীয় দফার কাজ চলছিল। কেন্দ্র এ বার প্রকল্পের চতুর্থ দফার পরিকল্পনা করছে। লোকসভা ভোটের পরে আজ, মঙ্গলবার কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ বাজেটে তার প্রতিফলন হয়তো থাকতে পারে। রাজ্যের কাছে দিল্লি থেকে এখনও পর্যন্ত যে বার্তা এসেছে, তাতে পিএমজিএসওআই-চার প্রকল্পে গোটা দেশে প্রায় ১.৩০ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে পারে কেন্দ্র। রাজ্যগুলির সম্মিলিত অংশিদারিত্বে (৪০ শতাংশের হিসেবে) ৬০ হাজার কোটি টাকা দিতে হতে পারে।
সরকারি সূত্রের দাবি, সব ধরনের প্রস্তুতি-পদক্ষেপ করার পরেও এ রাজ্যে পিএমজিএসওআই-এ দীর্ঘদিন ধরেই বরাদ্দ আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এ বার চতুর্থ দফার কাজ শুরু হলে তখন রাজ্যের ভাগে তার বরাদ্দ আসবে কি না, চর্চা রয়েছে তা নিয়ে। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, পিএমজিএসওআই-১ প্রকল্পে এ রাজ্যের ২৩টি জেলা মিলিয়ে ৬৯৩৯টি রাস্তার অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র। ওই সময়ে প্রকল্পে রাজ্য খরচ করেছিল প্রায় ১৪,৬৩৩ কোটি টাকা। পিএমজিএসওআই-২ প্রকল্পে এক ধাক্কায় সেই সংখ্যা কমে হয় ২৮৮টি। তাতে প্রায় ১৮৭১ কোটি টাকা খরচ হয়। পিএমজিএসওআই-৩ প্রকল্পে অনুমোদনের সংখ্যা আরও কমে হয় ১৪৪টি রাস্তা। ২০২২-২৩ আর্থিক বছর পর্যন্ত যাতে খরচ হয়েছিল প্রায় ২৪৬ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় তথ্যই বলছে, চালু প্রকল্পের ক্ষেত্রে ২০১৮-১৯ বছরে যে সমীক্ষাহয়েছিল, তাতে গুণমান সন্তোষজনক (আনস্যাটিসফ্যাক্টরি) নয়, এমন হার ছিল ৫.০২%। ২০২৩-২৪ সালে তা-ই ছিল ৩.৭০%। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, কেন্দ্রের সুপারিশ মেনে খামতি কাটাতে যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেই তথ্য জানানোও হয়েছে কেন্দ্রকে।
যদিও পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের দাবি, ‘‘ওরা আমাদের কাজের গুণমান নিয়ে কখনও প্রশ্নও তোলেনি। তাই ‘সন্তোষজনক নয়’-এমন তথ্য বিস্মিত করছে।’’ চতুর্থ দফায় টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা? তাঁর জবাব, ‘‘না আঁচালেবিশ্বাস নেই।’’