প্রতীকী ছবি।
মুখ্যমন্ত্রীর আসন্ন বাঁকুড়া সফরে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের মুকুটমণিপুরে থাকার জন্য পর্যটকদের হোটেল ‘বুকিং’ বাতিল করার খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। শনিবার প্রথমে জেলা প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়, পর্যটকদের যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, সে জন্য মুকুটমণিপুরে প্রশাসনের তরফে কোনও হোটেলই নেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসন যে হোটেলগুলি ‘বুক’ করেছিল, তা বাতিল করা হচ্ছে। পরে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে টুইট করে জানানো হয়, মুকুটমণিপুর ও বাঁকুড়ায় সরকারি কর্মসূচির জন্য পর্যটকদের অসুবিধে হওয়ার খবর ভিত্তিহীন। সরকারি কর্মচারীরা তাঁবু বা পর্যটনের সঙ্গে জড়িত নয় এমন সরকারি ভবনে থেকে কাজ করবেন। পর্যটকদের কোনও অসুবিধে হবে না।
যদিও মুকুটমণিপুরের হোটেল মালিকদের একাংশ জানিয়েছেন, পুলিশের তরফে নেওয়া কোনও হোটেলই এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাতিল করা হয়নি। বারবার ফোন করা হলেও ধরেননি বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও। জবাব দেননি মেসেজের। কাল, সোমবার থেকে চার দিনের বাঁকুড়া জেলা সফরে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথম দু’দিন তাঁর মুকুটমণিপুর লাগোয়া খাতড়ায় কর্মসূচি রয়েছে। সে জন্য রাজ্য প্রশাসনের বহু আমলা, পুলিশ-কর্তা ও নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের মুকুটমণিপুরে আসার কথা।
তাই খাতড়া থানা চিঠি দিয়ে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বেশির ভাগ ঘর ‘বুক’ করতে তাঁদের ‘অনুরোধ’ জানায় বলে দাবি মুকুটমণিপুরের হোটেল ও লজ মালিকদের একাংশের। বাধ্য হয়ে পর্যটকদের একাংশের ঘরের ‘বুকিং’ বাতিল করেন হোটেল ও লজ কর্তৃপক্ষ। সে জন্য পর্যটকদের অনেকে অখুশি হন। শুক্রবার সে খবর পৌঁছয় রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ-কর্তাদের কাছে।
সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়, সোমবার প্রশাসনিক বৈঠকের পরেই আমলাদের বেশির ভাগ কলকাতায় ফিরবেন। তাঁদের জন্য ঘরের দরকার তেমন নেই। তাই আগে থেকে ঘর ‘বুক’ করে রাখা পর্যটকদের যাতে অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপারে সচেতন করা হয় জেলা প্রশাসনকে। এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি বাঁকুড়ার জেলা শাসক এস অরুণ প্রসাদ।
টালিগঞ্জের বাসিন্দা নিত্যানন্দ দে ফোনে বলেন, “সপরিবারে আগামী সোমবার মুকুটমণিপুরে যাব বলে তিন দিনের জন্য হোটেল ‘বুক’ করেছিলাম। শুক্রবার হোটেল মালিক ফোনে ‘বুকিং’ বাতিল করার খবর দেন। তারপরে আর কেউ যোগাযোগ করেননি।’’