অশান্তির ঘটনায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। ফাইল চিত্র।
হাওড়ার শিবপুর এবং হুগলির রিষড়ায় অশান্তির ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট জমা দিলেন মুখ্যসচিব। মঙ্গলবার রাজভবনে গিয়ে রিপোর্ট দেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। রামনবমী ঘিরে অশান্তি ঘটেছিল শিবপুর এবং রিষড়ায়। ওই ঘটনায় সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গত সপ্তাহে মঙ্গলবার রিষড়ায় গিয়ে অশান্ত এলাকা ঘুরে দেখেছিলেন রাজ্যপাল। তার পরই অশান্তি নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছিলেন তিনি।
প্রশাসন সূত্রে খবর, রিষড়ায় অশান্ত এলাকা পরিদর্শনের পর প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল। তার পরই মুখ্যসচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেন তিনি। হাওড়ায় শিবপুরের পর গত সপ্তাহে রবি এবং সোমবার রিষড়ায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে গত মঙ্গলবার তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরেছিলেন রাজ্যপাল। তার পর সোজা রওনা দিয়েছিলেন রিষড়ার উদ্দেশে।
রিষড়ায় গিয়ে অশান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল বোস। কথা বলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত জাভালগির সঙ্গে। তার পর কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সঙ্গে। রিষড়ায় দাঁড়িয়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বলেছিলেন, ‘‘বাংলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’ সে দিনই কলকাতায় ফিরে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রিষড়ার জখম এক বাসিন্দার সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজ্যপাল।
শিবপুর এবং রিষড়ায় অশান্তির ঘটনার পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত শনিবার রাজ্যে এসেছে তথ্যানুসন্ধানী দল (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম)। শনিবার তাঁরা গিয়েছিলেন রিষড়ায়। সেখানে তাঁরা ‘পুলিশি বাধা’র মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। রবিবার তাঁরা রওনা দিয়েছিলেন হাওড়ার উদ্দেশে। সেখানেও তাঁরা পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। সোমবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ওই দলের সদস্যেরা। রাজ্যে অশান্তির ঘটনায় বিজেপিকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি বলেছেন, ‘‘বিজেপি ইচ্ছাকৃত ভাবে এ সব করেছে।’’ পাল্টা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন।