মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। — নিজস্ব চিত্র।
লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে ঘোষণা, রাস্তাশ্রী প্রকল্পের সূচনা, স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় বহাল— রাজ্য বাজেটে চোখে পড়ার মতো বিষয় একাধিক। কিন্তু দিনের শেষে সব নজর কেড়ে নিল ৩ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র ঘোষণা। আর সেই ঘোষণার আগে বিধানসভা সাক্ষী থাকল এক ঘটনার, যা সাম্প্রতিক কালে নজিরবিহীন। বিধানসভায় সেই সময় উপস্থিত থাকা কয়েক জন জানিয়েছেন, ডিএ-র কথা বাজেট বইয়ে উল্লেখ ছিল না। মমতার পাঠানো চিরকুট পড়ার পরেই ডিএ-র কথা ঘোষণা করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। এই পরিস্থিতিতে বাজেটে ডিএ-র ঘোষণা হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা ছিল শাসকদলের অন্দরে। সূত্রের খবর, এ বারের বাজেট প্রস্তাবে ডিএ বৃদ্ধির কোনও প্রস্তাব ছিল না। কিন্তু চন্দ্রিমা যখন বাজেট প্রস্তাব পাঠ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন, ঠিক সেই সময়েই বিধানসভায় ঘটে একটি ঘটনা। নিজের আসনে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ছোট কাগজের টুকরোয় কিছু লেখেন। তার পর অরূপ বিশ্বাসের হাতে দেন তা। অরূপ সেই চিরকুট দিয়ে আসেন বাজেট প্রস্তাব পাঠরত চন্দ্রিমার হাতে। এক ঝলক চোখ বুলিয়েই চন্দ্রিমা ঘোষণা করেন, ‘‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি রাজ্যের সকল কর্মচারী, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা আগামী মার্চ থেকে চালু হবে।’’ এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই বাজেট বক্তৃতা শেষ করেন চন্দ্রিমা।
ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। যদিও বিধানসভায় নাটকীয় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যে ভাবে চিরকুট পড়ে ডিএ ঘোষণা করলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী, সাম্প্রতিক কালে এমন ঘটনার কথা মনে করতে পারছেন না কেউই।