স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়ের সময়সীমা বাড়ল আরও ছ’মাস। — ফাইল ছবি।
করোনাকালে জমি, বাড়ি কেনায় উৎসাহ দিতে স্ট্যাম্প ডিউটিতে যে ২ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল, আমজনতা সেই সুবিধা নিতে পারবে আরও ৬ মাস। বুধবার রাজ্য বাজেটে এমনই ঘোষণা করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পাশাপাশিই জমি, বাড়ির ‘সার্কল রেট’-এর উপর ১০ শতাংশ ছাড়ের সময়সীমাও আরও ছ’মাস বৃদ্ধি করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে এর ফলে জমি, বাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি উৎসাহ পাবেন ক্রেতারা।
কাঁচামালের চড়া দাম এবং গৃহঋণে উঁচু সুদের জেরে ফ্ল্যাট-বাড়ির দাম বাড়ায়, আবাসনশিল্পে ভাটা পড়েছিল। তা কাটিয়ে উঠতে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড় দিয়েছিল রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, সার্কল রেটেও ১০ শতাংশ ছাড় দিয়েছিল নবান্ন। আপাত ভাবে করোনাকাল কেটেছে ঠিকই। কিন্তু আবাসন কেনায় জোয়ার এখনও আসেনি। সে দিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্য বাজেটে সেই জোড়া ছাড় আরও ছ’মাস বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন চন্দ্রিমা। মার্চেই এই জোড়া ছাড় শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চন্দ্রিমা তা আরও ছ’মাস বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করলেন। অর্থাৎ, এ বছর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্ট্যাম্প ডিউটি এবং সার্কল রেটে ছাড় বজায় থাকবে।
জমি, বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে জমি বা ফ্ল্যাটের দামের উপর নির্ণয় করা হয় স্ট্যাম্প ডিউটি। কোনও এলাকায় জমি বা সম্পত্তি সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম যে দামে নথিভুক্ত হয়, তাকে বলে সার্কল রেট। অর্থাৎ, এই জোড়া ছাড়ের জেরে বাংলায় জমি, ফ্ল্যাট বা বাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে খরচ কিছুটা হলেও কমবে। সরকারের মূল উদ্দেশ্য ছিল, খরচ বাঁচানোর সুবিধা দিয়ে ফ্ল্যাট-বাড়ি কেনা এবং নথিভুক্তিতে ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ানো যায়। বাজেট ভাষণে চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘বাড়িঘর ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আর্থিক সুরাহা দিতে আমাদের সরকার স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড় এবং জমি বা সম্পত্তির বাজারমূল্যের সার্কল রেটের উপর ১০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। যা চলতি আর্থিক বছরে অর্থাৎ, ২০২৩-এর মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আমি ঘোষণা করছি, ক্রেতাদের স্বার্থে এই সুবিধা আরও ছ’মাস অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।’’ স্ট্যাম্প ডিউটি এবং সার্কল রেটে ছাড়ের সময়সীমা বৃদ্ধির ফলে বাড়ি, ফ্ল্যাট ক্রেতারা উপকৃত হবেন বলে মনে করছে রাজ্য সরকার।