ফাইল চিত্র ।
পর্যটনের উন্নয়নে ৪৬৭ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব, পরিবহনে বরাদ্দ এক হাজার ৭৮৮ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা।
স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যানে ১৭ হাজার ৫৭৬ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর। জন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বরাদ্দ তিন হাজার ৮৭৭ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং বায়েটেকনোলজি সংক্রান্ত দফতরের জন্য ৭২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব বাজেটে।
বনবিষয়ক উন্নয়নে ৯৩৮ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হল রাজ্য বাজেটে। সুন্দরবনের উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে ৭২০ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। পরিবেশের উন্নয়নে বরাদ্দ ৯৯ কোটি টাকা।
স্বরাষ্ট্র এবং পার্বত্যবিষয়ক দফতরে বরাদ্দ করা হল ১২ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে ৭৯৭ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
তরুণ প্রজন্মের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প খেলাধূলোর ক্ষেত্রে ৭৪৯ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব। এ ছাড়া স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা স্বনিযুক্তির প্রকল্পে বরাদ্দ করা হল ৭২০ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা।
স্কুল শিক্ষা ক্ষেত্রে ৩৫ হাজার ১২৬ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাজ্য বাজেটে। প্রযুক্তি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এক হাজার ২৮৬ কোটি টাকা, গণ শিক্ষা সম্প্রসার এবং গ্রন্থাহার পরিষেবার উন্নয়নে বরাদ্দ ৩৮৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা, সংখ্যালঘু এবং মাদ্রাসা শিক্ষায় পাঁচ হাজার চার কোটি পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেটে। উচ্চ শিক্ষায় পাঁচ হাজার ৮১১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
শহরাঞ্চলের এবং পুরএলাকাগুলির উন্নয়নে ১২ হাজার ৮১৮ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১ কোটি টাকা সাহায্য করার প্রস্তাব রাজ্য বাজেটে।
সিএনজি চালিত গাড়িতে রেজিস্ট্রেশনে ছাড়। রেজিস্ট্রেশন ফি মকুবের প্রস্তাব। এ ছাড়া সিএনজি চালিত গাড়িতে ২ বছরের জন্য রোড ট্যাক্স মকুব।
ফ্ল্যাট বাড়ি কেনা বেচায় কর ছাড় রাজ্য বাজেটে।
স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়ের মেয়াদবৃদ্ধি।
৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ শতাংশ কর ছাড় মিলবে।
সার্কেল রেটেও ১০ শতাংশ ছাড়।
উপজাতির উন্নয়নের জন্য এক হাজার ৮৯ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য দু’হাজার ১৭৮ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
অতিমারী পরিস্থিতিতেও রাজ্যের আয় বেড়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৩.৭৬ গুন বেড়েছে।
নারী এবং শিশু কল্যান প্রকল্পে ১৭.৫ গুণ বরাদ্দ বাড়ল। ১৯ হাজার ২৩৮ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
এক হাজার ২৬৬ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
কৃষি এবং কৃষি বিপণনে প্রায় ১০ হাজার কোটা টাকা বিনিয়োগেের পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। চন্দ্রিমা জানালেন, কৃষি বিপণনে ৪০৩.৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে ৯হাজার ৩১০.২০ কোটি বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। কৃষি ক্ষেত্রে ১১.৩ গুন বেরেছে বরাদ্দ। কৃষকদের সাহায্য করতে কৃষকবন্ধু প্রকল্প। ৭৮ লক্ষ কৃষক সাহায্য পেয়েছেন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারের দাবি, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে রাজ্য বাজেটে। যদিও তৃণমূলের দাবি, বাজেট বক্তৃতা চলাকালীন বিজেপির বিক্ষোভ পূর্ব পরিকল্পিত।
কেন্দ্রীয় সরকারের জলজীবন মিশন প্রকল্পের নাম বদল করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি-র বিধায়কদের। তাঁদের দাবি কেন্দ্রীয় প্রকল্পকেই রাজ্য ‘জল স্বপ্ন’ নাম দিয়ে চালাচ্ছে। বিজেপি বিধায়কেরা এ নিয়ে বিক্ষোভও দেখান।
চন্দ্রিমার বাজেট বক্তৃতার মাঝেই বিজেপি-র বিধায়কেরা বেরিয়ে গেলেন বিধানসভা কক্ষ থেকে।