ওই নির্দেশিকায় শিক্ষকদের স্কুলে হাজিরা থেকে শুরু করে তাঁদের মোবাইলের ব্যবহার নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। —ফাইল চিত্র।
স্কুলশিক্ষকদের জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ১৯ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকা মেনে চলতে বলা হয়েছে সব সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের। প্রধানশিক্ষকদের দেওয়া ওই নির্দেশনামায় স্কুল পরিচালনা নিয়ে একঝাঁক নির্দেশ থাকলেও, স্কুলশিক্ষকদের নিয়েই মূলত কড়া নিদান দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশিকার পরতে পরতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষকদের উদ্দেশে। তাঁদের স্কুলে হাজিরা থেকে শুরু করে তাঁদের মোবাইলের ব্যবহার নিয়ে বেশ কিছু কঠিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রধানশিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী-সহ স্কুলশিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ক্লাস শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে স্কুলে ঢোকা বাধ্যতামূলক। ১০.৪০-১০.৫০ মিনিট বরাদ্দ করা হয়েছে প্রার্থনা সঙ্গীতের জন্য। কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী যদি ১১টা ০৫ মিনিটে স্কুলে আসনে, তাহলে তাঁকে ওই দিনের জন্য অনুপস্থিত ধরা হবে। সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা বিকেল সাড়ে চারটের আগে স্কুল থেকে যেতে পারবেন না। এ ছাড়াও প্রত্যেক শিক্ষককে ক্লাস নেওয়া ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে স্কুলের প্রধানশিক্ষক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষককেও ক্লাস নিতে হবে।
স্কুলে মোবাইলের ব্যবহার নিয়েও শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নির্দিষ্ট নিয়মে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ক্লাসরুমে যাতে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনোয় কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, তাই ক্লাসে বা ল্যাবরেটরিতে শিক্ষকরা মোবাইল ফোনের ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি স্কুল চত্বরে মোবাইল ফোনের ব্যবহার করতেই হয়, তবে তা করতে হবে প্রধানশিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে, এবং তা করতে হবে স্কুলের একটি নির্দিষ্ট জায়গায়, যেখানে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনোর বিষয় থাকবে না। শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রেও মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। আর ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে আসা পুরোপুরি বন্ধ করার কথা ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।