অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল ছবি।
আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বীরভূমের দুবরাজপুর থানায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি ঘরে ঠাঁই হয়েছে তাঁর। তবে, অনুব্রত মণ্ডলের শরীর ভাল নেই। বৃহস্পতিবার দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগের মতো অনুব্রতের শরীরে রক্তচাপ, সুগার একটু বেশিই রয়েছে। হালকা যন্ত্রণা রয়েছে বুকে। শরীরের তাপমাত্রাও বেশি।
খুনের চেষ্টার মতো জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হওয়ায় আদালতের নির্দেশে দুবরাজপুর থানায় পুলিশি হেফাজতে থাকতে হচ্ছে অনুব্রতকে। পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতার জন্য থানায় ‘বিশেষ’ বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ঘরের মেঝে টাইলস্ দিয়ে বাঁধানো। একটি খাট রয়েছে। তার উপর গদি পেতে বিছানা করা হয়েছে। ঘরে এসিও রয়েছে। অনুব্রতের জন্য তাঁর ‘পছন্দের’ রান্নাও হচ্ছে থানায়।
থানায় অনুব্রতকে ‘আগলে’ রাখার পাশাপাশি রোজই তৃণমূল নেতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা গাড়িতেই অনুব্রতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। যা নিয়ে বিতর্কও হয়। তবে বুধবার থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় হাসপাতালের ভিতরেই। পুলিশ সূত্রে দাবি, অনুব্রতকে যদি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, তার প্রস্তুতিও রয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে সরকারি ভাবে কেউ কিছু জানাননি।
গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতের মামলা বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ওঠে। আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানান, অনুব্রত তাঁদের সংশোধনাগারে নেই। তিনি বর্তমানে দুবরাজপুর পুলিশের হেফাজতে থাকায় তাঁকে সশরীরে হাজির করানো সম্ভব হয়নি। সওয়াল-জবাবের পর আদালত অনুব্রতকে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনোজ প্রসাদ ওই নির্দেশ দিয়েছেন।