BJP

BJP: হঠাৎ করে বন্‌ধ ডাকা ছাড়া উপায় ছিল না, দলেই ওঠা প্রশ্ন নিয়ে জবাব সুকান্তের

সোমবারের বন্‌ধ নিয়ে সুকান্ত দাবি করেন, অনেক জায়গাতেই বহু প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। কিছু কিছু জরুরি ক্ষেত্র যেখানে মানুষের সমস্যা হতে পারে সেখানে বিজেপি ছাড় দিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বন্‌ধের সমর্থনে রাস্তায় নামা বিজেপি নেতা,কর্মীদের উপরে হামলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সুকান্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:০৩
Share:

বন্‌ধ ডেকে অস্বস্তিতে বিজেপি। ফাইল চিত্র

সোমবারের বাংলা বন্‌‌ধ আচমকা ডাকা ছাড়া উপায় ছিল না বলেই দাবি করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলে কোনও আলোচনা ছাড়াই রবিবার বিকেলে বন্‌ধ ডাকা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই। সোমবার দুপুরেই বন্‌ধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আচমকা বন্‌ধ ডাকায় সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে বলেও নন্দীগ্রামে মন্তব্য করেন তিনি। বিকেলে সেই প্রসঙ্গে জবাব দিলেন সুকান্ত। বালুরঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি শুভেন্দুর বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘উনি যেটা বলেছেন, সেটা দলের মাধ্যমে জেনেছি। কিন্তু আচমকা বন্‌ধ ডাকা ছাড়া উপায় ছিল না।, আমরা হঠাৎ করেই ডেকেছি। কারণ, যে কারণে বন্‌ধ সেই ভোটে সন্ত্রাস নিয়ে তো আর সাত দিন পরে বন্‌ধ ডাকা যায় না।’’

Advertisement

কোনও প্রস্তুতি ছাড়া এই ভাবে আচমকা বন্‌ধ ডাকা ঠিক হয়েছে কি না তা নিয়ে বিজেপি-র অন্দরে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে সেটা সামনে এসে যায় শুভেন্দুর মন্তব্যে। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথাও তুলে ধরেন শুভেন্দু। এরও জবাব দিয়েছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের অসুবিধা হবে জানি। তাই আমরা আগেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। কিন্তু বাংলার গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে এই বন্‌‌ধ জরুরি ছিল।’’ সোমবার শুভেন্দু রাজ্য সভাপতির কাছে বন্‌ধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন বলে মন্তব্য করার পরে আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘‘উনি এমন কোনও কথা আমাকে বলেননি। বলেছেন সংবাদমাধ্যমে। আমাকে যদি তেমন কোনও আর্জি জানাতেন, তা হলে আলোচনা হত। তবে এখন বন্‌‌ধ প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়।’’ তবে এর পরেও শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে কি না সে ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠকে কোনও মন্তব্য করেননি সুকান্ত।

সোমবারের বন্‌ধ নিয়ে সুকান্ত দাবি করেন, অনেক জায়গাতেই বহু প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। কিছু কিছু জরুরি ক্ষেত্র যেখানে মানুষের সমস্যা হতে পারে সেখানে বিজেপি ছাড় দিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বন্‌ধের সমর্থনে রাস্তায় নামা বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপরে হামলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সুকান্ত। প্রসঙ্গত আগেই তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা সোমবারের বন্‌‌ধে কোনও প্রভাব পড়েনি বলে দাবি করেছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের চোখের দোষ। স্কুলে নিয়োগেও যে দুর্নীতি হয়েছে সেটা যেমন তৃণমূল দেখতে পায় না, তেমন বন্‌ধের প্রভাব দেখতে পায়নি। তৃণমূল যা বলে সেটা ধর্তব্যের মধ্যে না রাখাই ভাল।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement