ছবি সংগৃহীত।
করোনাভাইরাস সংহারমূর্তি ধরার পরে কলকাতা বিমানবন্দরের কর্মকাণ্ডও স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার পরে কিছু কিছু উড়ান চালু হলেও আবার এক সপ্তাহের মধ্যে এই বিমানবন্দর কার্যত বন্ধ হতে চলেছে।
রাজ্য সরকার চিঠি দিয়ে কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছে, ৬ জুলাই অর্থাৎ সোমবারের পরে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, আমেদাবাদ, পুণে, নাগপুর, সুরাত ও ইনদওর থেকে কলকাতার উড়ান দু’সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখা হোক। সেই সঙ্গে রাজ্যের অনুরোধ, ওই তারিখ থেকে গোটা জুলাই অন্যান্য শহর থেকে সপ্তাহে মাত্র একটি করে উড়ান চালান হোক কলকাতায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, ‘‘হটস্পট থেকে দু’সপ্তাহ উড়ান আসবে না। বাকি জায়গা থেকে সপ্তাহে একটি করে উড়ান আসবে। তবে রাজ্যের বিভিন্ন শহরের মধ্যে উড়ান চললে কোনও আপত্তি নেই।’’
আজ, বুধবার থেকে বন্দে ভারত প্রকল্পে বিদেশ থেকে কলকাতামুখী উড়ানও বন্ধ করে দিতে অনুরোধ করেছে রাজ্য। বলা হয়েছে, যাঁরা কলকাতায় আসবেন, নিভৃতবাসের নিয়ম তাঁরা যে মানবেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রকেই। সেটা নিশ্চিত হলে তবেই বন্দে ভারতের উড়ান নামতে পারবে কলকাতায়। ওই প্রকল্পে রোজ গড়ে তিন-চারটি উড়ান এই শহরে নামছিল। মঙ্গলবার নামে পাঁচটি উড়ান। বুধবার কায়রো থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার যে-উড়ানটির দিল্লি ঘুরে কলকাতায় আসার কথা ছিল, সেটি বাতিল করা হয়েছে।
কলকাতায় প্রতিদিন ১৩০ থেকে ১৪০টি ঘরোয়া উড়ান ওঠানামা করছে। বিমানবন্দরে খবর, দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো শহর থেকে উড়ান বন্ধ হয়ে গেলে সারা দিনে পাঁচটি উড়ানও নামবে না কলকাতায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের মধ্যে উড়ান চলাচলে বাধা নেই। উড়ান সংস্থার এক কর্তার কথায়, যা যাত্রী হচ্ছে, তাতে কলকাতা থেকে বাগডোগরায় রোজ বড়জোর চারটি উড়ান যাতায়াত করতে পারে। অণ্ডালের কোনও যাত্রী নেই।
করোনা আবহে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সম্মতি ছাড়া ট্রেন ও বিমান পরিষেবা চালু করতে চাইছে না কেন্দ্র। এ দিনই বিমান মন্ত্রকের সচিব পিএস খারোলাকে লেখা রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহের চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। সেই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ভিন্ রাজ্য থেকে আসা মানুষদের মধ্যে সংক্রমণের লক্ষণ বেশি। তাই রাজ্য সরকার কলকাতায় আসা উড়ানের সংখ্যা কমিয়ে ফেলতে চায়। বাগডোগরার ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
বিমান মন্ত্রক গভীর রাত পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি।