State Administrative Tribunal's Verdict

রাজ্যেও কি মহার্ঘ ভাতা কেন্দ্রীয় হারেই? কাল রায় দেবে স্যাট

কংগ্রেসের ছাতার তলায় থাকা সংগঠন কনফেডারেশনের তরফে যে মামলা করা হয়েছিল, সেই মামলার রায়ই ঘোষিত হচ্ছে শুক্রবার। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতেই ডিএ সংক্রান্ত দাবি নিয়ে স্যাটের দ্বারস্থ হয়েছিল কনফেডারেশন। কিন্তু স্যাট সে সময় মামলাটি শুনতেই চায়নি। শুরুতেই মামলাটি খারিজ করে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৯ ১৯:০২
Share:

রাজ্য সরকারি কর্মীরা অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছেন রায়ের দিকে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

আড়াই বছরের টানাপড়েন এবং প্রতীক্ষার পরে ঘোষিত হতে চলেছে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলার রায়। রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (স্যাট) শুক্রবার এই রায় ঘোষণা করতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার যেমন তার কর্মীদের জন্য বছরে দু’বার ডিএ ঘোষণা করে, রাজ্যও তেমনটাই করতে বাধ্য কি না, সেই রায়ই ঘোষিত হবে। রাজ্য সরকারি কর্মীরা অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছেন রায়ের দিকে।

Advertisement

২০১৭ সাল থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আইনি লড়াই চালাচ্ছে একাধিক কর্মী সংগঠন। কংগ্রেসের ছাতার তলায় থাকা সংগঠন কনফেডারেশনের তরফে যে মামলা করা হয়েছিল, সেই মামলার রায়ই ঘোষিত হচ্ছে শুক্রবার। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতেই ডিএ সংক্রান্ত দাবি নিয়ে স্যাটের দ্বারস্থ হয়েছিল কনফেডারেশন। কিন্তু স্যাট সে সময় মামলাটি শুনতেই চায়নি। শুরুতেই মামলাটি খারিজ করে দেয়।

স্যাটে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ২০১৭ সালেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কর্মী সংগঠনটি। ২০১৮ সালে হাইকোর্ট জানায় যে, ডিএ হল কর্মীদের অধিকার। রাজ্য সরকারের তরফে তার আগে হাইকোর্টকে বলা হয়েছিল, ডিএ কোনও অধিকার নয়, ডিএ সরকারের ইচ্ছাধীন। কিন্তু হাইকোর্ট স্পষ্ট জানায়, ডিএ কোনও দয়ার দান নয়, ন্যায্য অধিকার। তবে বছরে ক’বার ডিএ দেওয়া হবে, কী হারে দেওয়া হবে, তা নির্ধারণের ভার ফের স্যাটের হাতেই ছেড়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

Advertisement

উচ্চ আদালতের নির্দেশ পেয়ে ফের বিষয়টি নিয়ে শুনানি শুরু করে স্যাট। কিন্তু মামলা চলাকালীনই রাজ্য সরকার ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। হাইকোর্টকে তার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয় সরকারের তরফে। সে সময়ে স্যাটের শুনানি ফের বন্ধ হয়ে যায়। হাইকোর্টে যে হেতু ফের মামলাটি উঠেছে, সে হেতু স্যাটে শুনানি বন্ধ থাক— এই আর্জি রাজ্য সরকারি কৌঁসুলিরাই জানিয়েছিলেন।

হাইকোর্ট অবশ্য আগের রায় বদলায়নি। ডিএ যে কর্মীদের অধিকার, সেই পর্যবেক্ষণ থেকে পিছিয়ে আসতেও বিচারপতিরা রাজি হননি। ফলে ফের স্যাটেই ফেরে মামলা। সে মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল আগেই। আগামী কাল রায় ঘোষিত হতে চলেছে। বছরে ক’বার ডিএ ঘোষিত হওয়া উচিত এবং কী হারে ঘোষিত হওয়া উচিত, সে বিষয়ে স্যাট স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে দেবে বলেই কর্মী সংগঠনগুলির আশা।

কনফেডারেশনের তরফে সুবীর সাহা বলেন, ‘‘ডিএ যে সরকারের দয়ার দান নয়, তা যে আমাদের ন্যায্য অধিকার, সে কথা হাইকোর্ট তো আগেই জানিয়েছে। সুতরাং আমরা চাই, স্যাট এ বার জানিয়ে দিক, কেন্দ্র যেমন বছরে দু’বার কর্মীদের জন্য ডিএ ঘোষণা করে, রাজ্যও সে ভাবেই করুক এবং মূল্যবৃদ্ধির যে কেন্দ্রীয় সূচক, তার ভিত্তিতেই ডিএ-র পরিমাণ নির্ধারণ করা হোক।’’

কনফেডারেশনের পাশাপাশি ডিএ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মমলা করেছিল বিজেপির সংগঠন কর্মচারী পরিষদও। সে মামলার শুনানিও আগেই শেষ হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে সেই মামলার রায়ও স্যাট দিয়ে দেবে। কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীলের কথায়, ‘‘কনফেডারেশন যা চাইছে, আমরাও সেটাই চাই। বছরে দু’বার ডিএ ঘোষণা করাটাই নিয়ম। রাজ্য সরকারকে সেই নির্দেশ স্পষ্ট ভাবে দিয়ে দিক স্যাট, আমরা এটাই চাই। স্যাট সেই নির্দেশই দেবে বলে আমরা আশাবাদী।’’

আরও পড়ুন: ২৬ মাস পর অনুপম হত্যাকাণ্ডের রায়, দোষী সাব্যস্ত স্ত্রী মনুয়া ও তার প্রেমিক অজিত, সাজা ঘোষণা কাল

আরও পড়ুন: মোদীকে চিঠির জের, ফোনে খুনের হুমকি পেলেন কৌশিক সেন

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement