শুক্রবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ ঘিরে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন সকলে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এই মুহূর্তে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এর পর আরও শক্তি বাড়িয়ে বুধবার ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম হবে ‘মোকা’। নামটি দিয়েছে ইয়েমেন। কোন পথ ধরে এগোবে ঘূর্ণিঝড়? সে দিকেই নজর রেখেছে হাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার বিকেলে আলিপুরের বুলেটিন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, তা আরও শক্তি বাড়িয়ে বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর, আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পর তা উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিক বরাবর এগোবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই পথ ধরেই এগোতে পারে ঘূর্ণিঝড়।
শুক্রবার দিক পরিবর্তন করতে পারে ‘মোকা’। বাঁক নিয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিক বরাবর বাংলদেশ উপকূলের দিকে এগোবে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ১১ মে, বৃহস্পতিবার ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিমি। শুক্র এবং শনিবার ঝড়ের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিমি।
তবে কবে এবং কোথায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়, সে ব্যাপারে এখনই কিছু জানায়নি আবহাওয়া দফতর। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির উপর সর্বদা নজর রেখেছে হাওয়া অফিস। আলিপুর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে থেকে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।