জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে অমিত শাহ। মঙ্গলবার। ছবি সংগৃহীত।
২৫ বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে এসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে চাইলেন অমিত শাহ। কবিগুরুর জন্মের সময় এবং তিথি কী, তা জানতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই মতো তথ্য সংগ্রহ করে তা শাহের কাছে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্মাল্য নারায়ণ চক্রবর্তী। উপাচার্যের কথায়, ‘‘জোড়াসাঁকোয় ঘুরতে ঘুরতে এক সময় অমিত শাহ জানতে চান রবীন্দ্রনাথের জন্মের সময় এবং তিথি কী। দুর্ভাগ্যবশত এই মুহূর্তে সেই তথ্য আমাদের হাতের কাছে নেই। উনি বললেন, জেনে ওঁকে জানাতে।’’
মঙ্গলবার সকালে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে প্রথমে রবীন্দ্রমূর্তিতে মাল্যদান করেন শাহ। এর পর কবিগুরুর জন্মকক্ষ এবং প্রয়াণকক্ষ, বিচিত্রা ভবন ঘুরে দেখেন তিনি। ঘুরে দেখেন ঠাকুরবাড়ির নানা আসবাবপত্র। শাহি সফরের পর এমনটাই জানিয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। শাহের সঙ্গে জোড়াসাঁকোয় ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
রবীন্দ্রনাথের জন্মসময় এবং তিথিই শুধু নয়, আরও বেশ কিছু তথ্য জানতে চান শাহ। রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য জানান, বিচিত্রা ভবনে আইনস্টাইনের সঙ্গে কবিগুরুর ছবি দেখে শাহ জানতে চান যে, আইনস্টাইনের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কোথায় দেখা হয়েছিল? রবি ঠাকুরের বংশলতিকাও দেখেন শাহ। বিশ্বকবির পরিবারের কেউ রয়েছেন কি না, এ ব্যাপারেও খোঁজ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
জোড়াসাঁকো ঘুরে দেখে শাহ ‘খুব খুশি’ বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। তাঁর কথায়, ‘‘রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি এ ভাবে আমরা রক্ষা করে রেখেছি, এটা দেখে উনি খুবই খুশি হয়েছেন।’’ জোড়াসাঁকোয় ভিজ়িটার্স বুকে গুজরাতি ভাষায় নিজের মতামত শাহ লিখেছেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে শাহকে উত্তরীয়, পুষ্পস্তবক দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত কিছু বইও দেওয়া হয়েছে।