—ফাইল চিত্র।
পৌষ শেষ হয়নি এখনও। তার আগেই উধাও হওয়ার পথে শীত। বরং পাহাড় থেকে সমতল, সর্বত্রই ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা। রবিবার শহর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও বেড়ে হয়েছে ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আপাতত জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা আর তেমন দেখা না গেলেও, সরস্বতী পুজোর আগে তাপমাত্রা খানিকটা হলে নামতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। তবে গঙ্গাসাগর মেলায় প্রতিবছর যে শীতের আমেজ থাকে, এ বারে তা আর পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না।
রবিবার সকাল থেকেই শীত বেপাত্তা শহরে। কুয়াশার দেখাও ছিল না তেমন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পারদ বরং চড়তেই থাকে। আকাশও ঝলমলে রয়েছে। শুধু শহর কলকাতাই নয়, আসানসোল (২৬ ডিগ্রি), দুর্গাপুর (২৫ ডিগ্রি), হাওড়া (২৪ ডিগ্রি), শিলিগুড়ি (২২ ডিগ্রি)-তেও তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী।
আরও পড়ুন: উপকূলে ভেসে এল দেহাংশ, ইন্দোনেশিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের সব যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা
কোভিড পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় সামলাতে বিশেষ সতর্কতা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। রবিবার কলকাতার আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্রের প্রধান জিকে দাস জানান, ৯ থেকে ১৭ জানুয়ারি বঙ্গোপসাগরের উপর তেমন কোনও পরিবর্তনের ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত মেলেনি। গঙ্গাসাগর এলাকায় ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমমুখী হাওয়ার বেগ থাকলেও, ঝঞ্ঝার কোনও সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: রাতে হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত কেশপুর, চন্দ্রকোনা, পরস্পরকে দুষছে বিজেপি-তৃণমূল
ওই ৮ দিন গঙ্গাসাগরে তাপমাত্রারও তেমন নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং ৯ থেকে ১২ জানুয়ারি দিনের বেলা তাপমাত্রা ২৯ থেকে ৩১ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে পারে। রাতের বেলা তা কমে হতে পারে ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি। ১৩ থেকে ১৭ জানুয়ারি তাপমাত্রা আরও কমে দিনের বেলা ১৪ থেকে ১৬ এবং রাতের বেলা ১৩ থেকে ১৭ ডিগ্রি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। দিনের বেলায় কুয়াশার সমস্যাও থাকবে না তেমন। বরং দিনের বেলায় দৃশ্যমানতা ২ থেকে ৪ হাজার মিটারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে। রাতে তা কমে ৫০০ মিটার হতে পারে।