ক্ষতিগ্রস্ত: বোলপুরে উপড়ে গিয়েছে গাছ। নিজস্ব চিত্র
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটির শক্তি বেড়েছে। দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, আজ, শুক্রবার সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং কাল, শনিবার সেটি ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে। রবিবার পর্যন্ত সে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে এবং সোমবার থেকে বাঁক নিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের দিকে যেতে পারে। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে, কেউ সাগরে থাকলে তাঁরা যেন দ্রুত ফিরে আসেন। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলায় পড়বে কি না, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেই বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি।
সামগ্রিক ভাবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেমন হবে বা সে বর্ষার উপরে কতটা কী প্রভাব ফেলবে, তা নিশ্চিত ভাবে জানতে না-পারলেও বৈশাখের শেষ লগ্নে গ্রীষ্মের খর চেহারা দেখা যাচ্ছে। বিকেলের দিকে গাঙ্গেয় বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টি হলেও দিনে রোদের তেজ ভালই মালুম হচ্ছে। তবে আবহবিদদের অনেকে বলছেন, এ বার গ্রীষ্মের তেমন তেজ নেই। মে মাসের মাঝামাঝি এসেও এ-পর্যন্ত তাপপ্রবাহের দেখা মেলেনি। আগামী কয়েক দিনেও তেমন কোনও আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে না। তবে এক আবহবিদ জানান, গাঙ্গেয় বঙ্গে ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে। আগামী কয়েক দিনও বিকেলের দিকে জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। বুধ-বৃহস্পতিবারে বীরভূমে বাজ পড়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিকেলে বিলাসপুর গ্রামে খেলার মাঠে কয়েক জন যুবক বসে ছিলেন। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ৭-৮ জন বটগাছের নীচে আশ্রয় নেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বটগাছের পাশে একটি তালগাছে বাজ পড়ে। গুরুতর আহত হন সাত জন। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে চার জনের মৃত্যু হয়। বোলপুর-সহ বেশ কিছু জায়গায় এ দিন শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।