শীত এল শহরে। —ফাইল চিত্র।
বড়দিনের আগেই দরজায় কড়া নাড়ল শীত। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাটতেই বুধবার সকাল থেকে রাজ্যে উত্তুরে হাওয়ার দাপট শুরু হয়েছে। তার জেরে শহর কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেকটাই নেমে গিয়েছে। কলকাতায় আজ মরসুমের শীতলতম দিন। এ দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৭২ ঘণ্টায় ঠান্ডা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বলা হয়েছে, শহর কলকাতার তাপমাত্রা নেমে গিয়ে ১৩ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে পারে। তাই আগামী কয়েকদিনে আরও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণেই এত দিন উত্তুরে হাওয়া দাপট দেখাতে পারছিল না। তাই তাপমাত্রা অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ঝঞ্ঝা কেটে যাওয়ার কারণে বুধবার তাপমাত্রা একধাক্কায় ৩ ডিগ্রি নেমে ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এসে ঠেকেছে। তা আরও নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনে আরও ৩-৪ ডিগ্রি পারদ পতন হতে পারে।
অন্য দিকে, সমতলের পাশাপাশি দার্জিলং-সহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও পারদ পতন হয়েছে। বেশ কনকনে ঠান্ডাই অনুভূত হচ্ছে পাহাড়ে। শিলিগুড়িতেও বুধবার উত্তুরে হাওয়ার দাপট ভালই রয়েছে। কয়েক দিন আগে সান্দাকফু বরফের চাদরে মুড়ে গিয়েছিল। সিকিমেও তুষারপাত হয়েছে। তার জেরে পর্যটকদেরও ভিড় রয়েছে সেখানে। এই মুহূর্তে দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। গ্যাংটকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৩ ডিগ্রি।
পাহাড় থেকে ঠান্ডা হাওয়া নেমে আসাতেও সমতলের আবহাওয়ায় প্রভাব পড়েছে। বীরভূম, বাঁকুড়া মেদিনীপুর-সহ বিভিন্ন জেলায় এ দিন তাপমাত্রা ১৩-১৪ ডিগ্রির আশেপাশেই ঘোরাফেরা করছে।