পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।
রাজ্যে ভবানীপুর-সহ সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রস্তুতি স্বরূপ ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট পরীক্ষার কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের রাজ্য দফতর। তার পরে স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, রাজ্যে বকেয়া ১১২টি পুরসভার ভোট কবে হবে? শনিবার কলকাতা পুরসভায় উপনির্বাচন ও পুরভোট নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হওয়ায় আমরা খুশি। আমরা চাই, কোনও বিধানসভা যেন প্রতিনিধিহীন না থাকে। শূন্য থাকা বিধানসভায় যদি দ্রুত জনপ্রতিনিধি নির্বাচন হয়, তা হলে সেই প্রক্রিয়াকে আমরা স্বাগত জানাব।’’
ইতিমধ্যে পুরভোট নিয়ে বিরোধী দলগুলি প্রশ্ন তুলছে। সেই বিষয়ে ফিরহাদ স্পষ্ট বলেন, ‘‘আমি এখন আর ওই দফতরের মন্ত্রী নই। তাই ওই সংক্রান্ত বিষয়ে আমি কিছু বলব না। তবে এটুকু বলব, দল সব রকম ভোটের জন্যই প্রস্তুত।’’
ভবানীপুরের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ভবানীপুর বিধানসভা থেকে পদত্যাগের কারণেই কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে ২১ নভেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। তিনি আবার প্রার্থী হতে পারেন খড়দহ আসনে। প্রসঙ্গত, ফলাফল ঘোষণার আগেই করোনা সংক্রমণে প্রয়াত হন খড়দহের বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহ। আর দিনহাটা ও শান্তিপুর থেকে যথাক্রমে বিধায়কপদ ত্যাগ করেছেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। উপনির্বাচন হবে সেখানেও। সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। পাশাপাশি, করোনা সংক্রমণে প্রার্থীদের মৃত্যুর কারণে নির্দিষ্ট সময়ে ভোট করা যায়নি মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে। ওই সাতটি কেন্দ্রেই তাই নির্বাচন বাকি রয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সুশীল চন্দ্রের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত উপনির্বাচন করার দাবি জানিয়েছে। অন্য দিকে আবার বিরোধী বিজেপি ও বামফ্রন্ট রাজ্যের বকেয়া পুরভোটের দাবিতে সরব হয়েছে।