ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র।
কোভিড সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসার আগে সমস্ত কলকাতাবাসীকে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। এমনটাই জানালেন কলকাতা পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। শনিবার কলকাতা পুরসভায় করোনার তৃতীয় ঢেউ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যদি সঠিক ভাবে টিকা দিত, তা হলে কলকাতা শহরে টিকাকরণ এত দিন শেষ হয়ে যেত। শুধু কলকাতাই নয়, কলকাতার পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁদেরও টিকা দেওয়া যেত। কলকাতা কর্পোরেশনের যে পরিকাঠামো রয়েছে, তাতে আমরা প্রতিদিন এক লক্ষ মানুষকে টিকা দিতে পারব। টিকা পাওয়ার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে আমাদের।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত কলকাতার ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। টিকা সঠিক পরিমাণে পাওয়া গেলে সেটা ১০০ শতাংশ হয়ে যাবে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় টিকার যোগান অনেক কম। আমরা রোজ ৫০ হাজার মানুষকে টিকা দিতে চাই। কিন্তু গড়ে ২৫ হাজার করে টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।’’ টিকার অপ্রতুলতার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের টিকা সরবরাহ নীতিকেই দায়ী করেছেন তিনি।
কলকাতার শহরের বস্তিবাসীদের মধ্যে মাত্র ২১ শতাংশের টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে, এমন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘‘বস্তির ক্ষেত্রে ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কার হিসেবে প্রথমে তাদের অনেককেই টিকা দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে টিকা দেওয়ার কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এ ভাবেই বস্তি এলাকা অনেকটাই কভার হয়ে গেছে। আমাদের পুরসভার দল বিভিন্ন বস্তিতে গিয়ে টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতার কথা বলে টিকা দেওয়ার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা টিকাকরণ চাইছি সবার জন্য। পর্যাপ্ত টিকা পেলে আমরা সবাইকে টিকা দিয়ে দেব। টিকা হাতে না পেলে কী ভাবে টিকা দেব?’’