ফাইল চিত্র।
অবশেষে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার বা পাঠ-পঞ্জিকায় ‘সামেটিভ টেস্ট’ বা পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের সময়সূচি প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার বিকেলে এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পর্ষদ জানিয়েছে, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ফার্স্ট সামেটিভ টেস্ট বা প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ৭ মে-র মধ্যে সেরে ফেলতে হবে সব স্কুলকে। দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সারতে হবে ২০ অগস্টের মধ্যে। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২৫ নভেম্বরের আগে শুরু করা যাবে না। তবে তা শেষ করতে হবে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে। দশম শ্রেণির তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন বা মাধ্যমিকের আগে যে-টেস্ট হয়, ১৭ নভেম্বরের আগে তা শুরু করা যাবে না। তা শেষ করতে হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।
পর্ষদ জানিয়েছে, প্রতিটি স্কুলকে নিজস্ব প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হবে এবং প্রশ্নের উপরে লিখে দিতে হবে স্কুলের নাম। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সম্পূর্ণ পাঠ্যক্রমের উপরে এই পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন হবে। প্রশ্নপত্রে নম্বর বিভাজনও পর্ষদ নির্দেশিত নিয়ম মেনেই করতে হবে স্কুলগুলিকে।
মার্চ প্রায় শেষ। ২ এপ্রিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। এ বার পরীক্ষা হোম সেন্টার অর্থাৎ ছাত্রছাত্রীদের নিজের নিজের স্কুলে। সেই জন্য পরীক্ষা চলাকালীন স্কুল বন্ধ রাখা ছাড়া উপায় নেই। ফলে পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন কবে শুরু হবে, তা নিয়ে সংশয় ছিল। পর্যদ শেষ পর্যন্ত সেই সময়সূচি ঘোষণা করায় ছাত্রছাত্রী ও স্কুলগুলি কিঞ্চিৎ স্বস্তি পেল বলেই জানাচ্ছেন বিভিন্ন স্কুল-কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের মতে, এই পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের সময়সূচিতে পঞ্চম শ্রেণির কথা বলা হয়নি। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘অনেক হাইস্কুলে কিন্তু পঞ্চম শ্রেণিও রয়েছে। অথচ পঞ্চম শ্রেণির পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের উল্লেখ নেই। পঠন-সেতু দেওয়া হয়েছিল প্রতিটি শ্রেণির জন্য। তারই বা কী হবে?’’