অনামিকা রায়। —ফাইল চিত্র।
অবশেষে চাকরির নিয়োগপত্র নিতে ডাক পেলেন অনামিকা রায়। সোমবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ জানিয়ে দিল আগামী বুধবার বেলা দুটো নাগাদ সচিত্র পরিচয়পত্র-সহ দফতরে হাজির হয়ে সংগ্রহ করতে হবে নিয়োগপত্র। শুধু অনামিকা নন ওই দিন ওই আরও চার প্রার্থীকে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।
ববিতা সরকারকে দেওয়া শিক্ষকতার চাকরি গত মে মাসে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই চাকরি দেওয়া হয়েছিল অনামিকা বিশ্বাস রায়কে। তার পর কেটে গিয়েছে চার মাস। তা-ও চাকরি পাননি অনামিকা। সোমবার অনামিকার চাকরি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টে। অনামিকা এখনও চাকরি পাননি শুনে এজলাসে বসে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করতেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, পুলিশ ভেরিফিকেশনে আটকে রয়েছে ওই চাকরি। অনামিকা শিলিগুড়ির কন্যা। তাঁর নাম-ঠিকানা সংক্রান্ত পুলিশি যাচাইয়ের দায়িত্ব শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটেরই। সেই পুলিশ ভেরিফিকেশন আটকে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। এর পরেই শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কাছে দ্রুত রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি। আদালত সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর ৩টের মধ্যেই ওই রিপোর্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার নিয়োগে কারচুপির অভিযোগে তাঁর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নিজের বেতনের পুরোটাই ফিরিয়ে দিতে হয় আদালতকে। সেই টাকা ও চাকরি পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির এসএসসি পরীক্ষার্থী ববিতা। কিন্তু ববিতার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যান অনামিকা। তাঁর মামলার পর দেখা যায়, ববিতার নিয়োগে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। অনামিকা তাঁর চেয়েও ২ নম্বর বেশি পেয়েছেন। ফলে তিনিই চাকরির যোগ্য দাবিদার। এর পরেই ববিতার চাকরি বাতিল করে অনামিকাকে চাকরি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পরেশ-কন্যার থেকে যে টাকা ববিতা পেয়েছিলেন, তা-ও অনামিকার হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।