—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই অভিযোগের দ্রত সমাধান করার জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করলেন পরিবহণ দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহন। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পরিবহণ দফতরের নোডাল আধিকারিকদের নিয়মিত অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে এবং তা তাঁদের অধীনে থাকা দফতরে পাঠাতে হবে।
২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সেখানে রাজ্যবাসী নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারেন। এই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তেই পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। সম্প্রতি এই নিয়ে নবান্নে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পরিবহণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েক জন আধিকারিক। ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু পরামর্শ দেন। তার পরেই পরিবহণ সচিব সৌমিত্র এই নির্দেশিকা জারি করেছেন।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, নোডাল আধিকারিকেরাই মূলত অভিযোগ যাচাইয়ের দায়িত্বে থাকবেন। রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (আরটিও) সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ করে তারা সেগুলি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়ে দেবেন। প্রয়োজনে নিজেদের মতামত দেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর নোডাল অফিসার তা আরটিও এবং অ্যাসিসট্যান্ট রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (এআরটিও)-কে পাঠাবে। প্রয়োজনে ওই দফতরের তরফে অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে কথা বলা হবে। এর পর সেই রিপোর্ট ডিরেক্টরেটের নোডাল আধিকারিককে পাঠানো হবে। তিনি তা পরখ করে প্রয়োজন মনে করলে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠাতে পারেন। অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন থাকলে নোডাল আধিকারিক তা আবার আরটিও এবং এআরটিওর কাছে পাঠাতে পারেন। কেন সেই অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়, তা-ও জানাতে হবে। কোনও অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যদি রাজ্য সরকারের কোনও নীতি প্রণয়নের প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে।