আরজি কর-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দীপ ঘোষকে নিজেদের দফতরে নিয়ে গেল সিবিআই। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরজি কর-কাণ্ডে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন ওই মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। শুক্রবার দুপুরে রাস্তা থেকে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, হাজিরার দিতে চাইলেও নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন সন্দীপ। সেই কারণেই সিবিআই নিজেদের গাড়িতে করে তাঁকে নিজেদের দফতরে নিয়ে যায়। আপাতত তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে খবর।
আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার অব্যবহিত পরে অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সন্দীপ। তবে তার মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়। যদিও সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয় সন্দীপের বিরুদ্ধে। তিনি ওই হাসপাতালে যাওয়ার আগে অধ্যক্ষের ঘরে তালা দেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়ারা। ঘটনাক্রমে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটিতে চলে যান সদ্যপ্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ। হাই কোর্ট মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভূমিকার ক্ষোভপ্রকাশ করে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের প্রশ্ন, ঘটনা ঘটার পরে কেন হাসপাতালের সুপার এবং অধ্যক্ষ পুলিশে অভিযোগ করলেন না?
শুক্রবারই সন্দীপ পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। উচ্চ আদালতের কাছে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়ে দেয় সোমবার আবার আবেদন করতে।
উল্লেখ্য, সন্দীপ সেই ব্যক্তি, যাঁর বিরুদ্ধে মরদেহ লোপাটের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালে এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে এসেছিলেন আরজি কর হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক। আগেও একাধিক বার আরজি কর থেকে বদলি হন সন্দীপ। আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন ২০২১ সালে। তার আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্মরত ছিলেন। তবে প্রথম বারে আরজি করের অধ্যক্ষ হওয়ার পরে সন্দীপ বদলি হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনি আবার আগের জায়গায় ফিরে আসেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরেও এক বার বদলি হয়ে মাসখানেকের মধ্যে আবার আরজি করের অধ্যক্ষ হন সঞ্জয়।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় বলা হয়েছিল, সন্দীপ ঘোষকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়েছে সিবিআই। এটি ঠিক নয়। সন্দীপের আবেদন মতোই সিবিআই তাদের গাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল তাদের দফতরে। বিষয়টি গোচরে আসা মাত্র আমরা তা সংশোধন করেছি। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী)