মানিক ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।
বাম আমলে বেআইনি ভাবে কলেজের অধ্যক্ষ হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। হাই কোর্টে এই মর্মে হলফনামা জমা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হলফনামা দিয়ে ইউজিসি-র বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করে নিল রাজ্য।
শুক্রবার হাই কোর্টে রাজ্যের কৌঁসুলি স্বীকার করে নেন যে, ১৯৯৮ সালে কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে বেআইনি ভাবে অধ্যক্ষ হয়েছিলেন মানিক। ঘটনাচক্রে, বাম আমলে অধ্যক্ষ পদে মানিকের নিয়োগ যে ‘বেআইনি’, তা স্বীকার নেওয়া হল তৃণমূল আমলে। মানিক রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিধায়কও বটে।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় মানিককে গ্রেফতার করেছিল ইডি। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। মানিক দীর্ঘ দিন কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। নিয়ম মেনে তিনি ওই পদে নিযুক্ত ছিলেন কি না, তা জানতে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-কে হলফনামা জমা দিতে বলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ১১ ডিসেম্বর সেই হলফনামা জমা দেয় ইউজিসি। তাদের তরফে আদালতে জানানো হয়, নিয়ম মেনে অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হননি মানিক।
ইউজিসির তরফে জানানো হয়, কলেজের অধ্যক্ষ হতে গেলে কোনও ব্যক্তিকে স্নাতকোত্তর স্তরে কমপক্ষে ৫৫ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। পিএইচডি কিংবা সমগোত্রীয় কোনও যোগ্যতা থাকতে হয়। তা ছাড়াও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কোনও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। এই সমস্ত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও মানিক অধ্যক্ষ হয়েছিলেন বলে হলফনামায় জানায় ইউজিসি।