পিসি সরকার জুনিয়র। —ফাইল চিত্র।
ইডি দফতরে গেলেন জুনিয়র পিসি সরকার। শুক্রবার সকালে কলকাতায় ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে যান প্রখ্যাত এই জাদুকর। তবে কী কারণে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে গেলেন, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। এর আগে একটি চিটফান্ডের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। সেই দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতার সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি।
চিটফান্ড-কাণ্ডে ২০২১ সালে পিসি সরকারের বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছিল সিবিআই। সেই সময় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছিল, একটি রেস্তরাঁ নিয়ে ওই চিটফান্ড সংস্থার সঙ্গে জাদুকরের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছিল। সেই সময় তিনি আমানতকারীদের প্রাপ্য টাকা না দেওয়ায় অভিযুক্ত ওই সংস্থার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন বলেও জানা যায় সিবিআই সূত্রে। চুক্তির বাইরে অন্য কোনও ভাবে টাকা লেনদেন হয়েছিল কি না, তা জানতেই তদন্ত করেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
সিজিও কমপ্লেক্সে জুনিয়র পিসি সরকার। শুক্রবার দুপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
প্রসঙ্গত, পিসি সরকারের রাজনীতিতেও বিশেষ ‘আগ্রহ’ রয়েছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে ‘অনুপ্রাণিত’ হয়ে বিজেপি-র টিকিটে বারাসত কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন সরকার জুনিয়র। যদিও ওই নির্বাচনে জিততে পারেননি তিনি। তবে পরে সে ভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে ২০২২ সালেও একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, কোনও দল ভোটে দাঁড়াতে বললে দর কষাকষির পর রাজি হয়ে যাবেন। আরও জানিয়েছিলেন যে, দল নিয়ে তাঁর বিশেষ ছুৎমার্গ নেই। তবে কথার খেলাপ হলে বা বাংলা নিয়ে পরিকল্পনামাফিক কাজ না-হলে যে তিনি সরে দাঁড়াবেন।
বাড়িতে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে জাদুকর বলেছিলেন, ‘‘আমার বাড়িতে সিবিআই-কে সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলাম। আমি বিজেপি সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমার বাড়িতে সিবিআই এসেছে দেখে ভীষণই খুশি হয়েছিলাম।’’ এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘যে স্পনসরের সঙ্গে আমি কাজ করেছি, তারা অন্যায় কাজ করেছে জেনে আমার বাড়িতেও সিবিআই পাঠানো হয়। এটা আমি বুঝেছিলাম। তাই, সব কাগজপত্র ওঁদের (তদন্তকারীদের) হাতে তুলে দিয়েছিলাম। সব রকম ভাবে সহযোগিতা করেছিলাম। আমি এ-ও বলেছিলাম, যদি প্রয়োজন হয়, আবার আসবেন।’’