West Bengal SSC Scam

বাঁচতে হবে কী করে? আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শান্তিপ্রসাদ, কল্যাণময়েরা, অভিযোগ সিবিআইয়ের

এসএসসি মামলায় পরিকল্পনা করে অপরাধ করেছিলেন মূল অভিযুক্তরা। আবার সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার পর গ্রেফতারি থেকে বাঁচারও আগাম পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ ১৮:১১
Share:

বাঁচার পথ আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন এসএসসি দুর্নীতির অভিযুক্তরা? শান্তি প্রসাদ, কল্যাণময়দের নিয়ে অভিযোগ সিবিআইয়ের। ফাইল চিত্র।

সিবিআইকে কী করে ফাঁকি দিতে হবে, তার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন এসএসসি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিংহ এবং কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়রা। আদালতে এমনই অভিযোগ করল সিবিআই।

Advertisement

রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকারী এই কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, শান্তিপ্রসাদ, কল্যাণময়েরা যেমন সংগঠিত ভাবে অপরাধ করেছেন, ঠিক তেমনই ধরা পড়লে কী ভাবে পিঠ বাঁচাবেন, তারও আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন তাঁরা। কীভাবে? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে সিবিআই।

বুধবার এসএসসি নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে। ভার্চুয়ালি সেখানে উপস্থিত ছিলেন এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ, মধ্য শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় এবং এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক সাহা। অভিযুক্তদের ব্যাপারে আদালতকে সিবিআই জানিয়েছে, তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার আগে থেকেই বাঁচার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন এঁরা। এসএসসি মামলায় শান্তিপ্রসাদদের আগে যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাঁদের কাছ থেকে এঁরা আগে থেকেই জেনে নিতেন সিবিআই কী কী প্রশ্ন করছে, কী তথ্য চাইছে। সেই বুঝেই আগে থেকে বাঁচার রাস্তা তৈরি করতে শুরু করেছিলেন তাঁরা।

Advertisement

আদালতে সিবিআইয়ের দাবি, এ ভাবে আগাম সতর্ক হয়েই তাঁরা তদন্তকারীদের প্রশ্ন এড়ানোর ফন্দিফিকির বার করে নিতেন। তাঁরা বলেছেন, ‘‘অপরাধ কী ভাবে করতে হবে এবং তা থেকে কী ভাবে বাঁচতে হবে— সবটাই আগে থেকে ঠিক করা ছিল এঁদের।’’

অবশ্য সিবিআই এই অভিযোগ করলেও শান্তিপ্রসাদ, কল্যাণময়, অশোকের আইনজীবীরা তা অস্বীকার করেছেন। আত্মপক্ষ সমর্থনে শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী বলেছেন, ‘‘উনি ৪৫ দিনের বেশি জেল হেফাজতে রয়েছেন। সিবিআই বলছে তদন্তে সাহায্য করছি না, সাক্ষীদের বিরক্ত করছি কিন্তু, সিবিআই জেল ভিজিট করেছে সাক্ষীদের বিরক্ত বা প্রভাবিত করার কথা তো আগে বলেনি।’’

অন্য দিকে, কল্যাণময়ের আইনজীবী যুক্তি দেন, তাঁর মক্কেল সিনিয়র সিটিজেন। একাধিক রোগ রয়েছে। তা ছাড়া সরাসরি এসএসসির সঙ্গে যুক্তও নয়। রেকমেনডেশন করার কোনও সুযোগ ছিল না। ৭ মাস বেতন নেননি। উনি পরিস্থিতির শিকার।

অশোক সাহার আইনজীবীও জানিয়েছেন, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন। তাঁর বাড়ি থেকেও কিছু পাওয়া যায়নি। এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান এই মামলায় সুবিধাভোগীই নন। তবে কেন তাঁকে জেল হেফাজত দেওয়া হচ্ছে।

সিবিআই অবশ্য তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে ৩ জনেরই জেল হেফাজত বাড়ানোর আবেদন করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement