সাংসদ দেব। —ফাইল চিত্র।
কেশপুরের লিফলেট-কাণ্ডে তাঁর দল কোনও ভাবেই জড়িত নয় বলে দাবি করলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। শুক্রবার এ নিয়ে নেটমাধ্যমে সরব হয়েছেন তিনি। দেবের দাবি, বিজেপি-র ১৮ জন নেতা-কর্মীকে বয়কট করার নির্দেশ দিয়ে যে লিফলেট কেশপুরে বিলি করা হয়েছে, তাতে তৃণমূল দল বা দলের কেউ জড়িত নন। যদিও একে তৃণমূলের সন্ত্রাস বলে পাল্টা দাবি বিজেপি-র। তবে কেশপুর বিধায়ক তথা মন্ত্রী শিউলি সাহা একে বিজেপি-র চক্রান্ত আখ্যা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের মহিষদা গ্রামে কয়েকটি লিফলেট বিলি করা হয়। ‘মহিষদা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসে’র নাম দিয়ে তাতে ১৭৬ ও ১৭৯ নম্বর বুথের ১৮ জন বিজেপি নেতা-কর্মীকে বয়কট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লিফলেটগুলিতে লেখা, ‘পার্টির অনুমতি ছাড়া এই সমস্ত ব্যক্তিদের কোনও জিনিসপত্র বিক্রি করা যাবে না’। এমনকি, এলাকার চায়ের দোকানিদেরও ওই ব্যক্তিদের বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার এ নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে দেব লিখেছেন, ‘কেশপুরে ব্যক্তিগত ভাবে আমার দলের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। এবং তাঁরাও পুনর্বিবেচনা করেছেন যে টিএমসি পার্টি অফিস / সদস্যদের দ্বারা এমন নোটিস দেওয়া হয়নি’।
যদিও দেবের এ দাবি মানতে নারাজ বিজেপি-র ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা নেতা তন্ময় ঘোষ। তিনি বলেন, “কেশপুর এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। নির্বাচনে হার-জিত থাকতেই পারে। তার মানে এই নয় যে বিরোধীদের বয়কট করতে হবে।”
গোটা ঘটনা নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের তরজা শুরু হয়েছে। কেশপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহার দাবি, “এ সব বিজেপি-র চক্রান্ত। ওই লিফলেটের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।” তবে বিজেপি রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা জবাব, “এই ঘটনার নিন্দার ভাষা নেই। এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” যদিও একে বিজেপি-র নোংরা রাজনীতি বলে দাবি করেছেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, “নোংরা রাজনীতি করছে বিজেপি। গোটা ঘটনার সঠিক তদন্ত হলে সব জানা যাবে।”