ফাইল চিত্র
৫ জুন শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের লোকসভার সাংসদ, রাজ্যসভার সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী ও পুরসভার চেয়ারম্যান তথা পুর প্রশাসকদের। তবে শুক্রবার নতুন নির্দেশে দূরের জেলাগুলির সাংসদ, বিধায়ক-সহ অন্য জনপ্রতিনিধিদের কলকাতা আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তাঁদের ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়েছে। কোভিডের কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল ভবনে আসতে বলা হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির সাংসদ,মন্ত্রীদের। তবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার যে সমস্ত এলাকা ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত, সেই সব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূল ভবনে আসতে হবে না।
শনিবার ঠিক কী কারণে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে তা অবশ্য তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জানানো হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে থাকতে পারেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও যুব সংগঠনের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের জয়ের পর রাজ্য সরকারকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের। ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর ৩ মে দলের নবনির্বাচিত বিধায়কদের তৃণমূল ভবনে তলব করেছিলেন মমতা। মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে রাজনৈতিক লড়াইয়ের অভিমুখ স্থির করার জন্যই সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে একাংশ তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, রাজ্যের প্রায় ১১০টি পুরসভার ভোট বাকি রয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ভোট হয়নি। সংক্রমণের গতি নিম্নগামী হলেই পুর নির্বাচনের পক্ষপাতী তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই শনিবারের বৈঠকে সেই নির্বাচন প্রসঙ্গেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারেন দলনেত্রী।