গ্রাফিক: সন্দীপন রুইদাস।
এপ্রিলের পর এই প্রথম নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজারের নীচে নামল। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ফের ১০০ ছাড়িয়েছে। একই সঙ্গে, কোভিডে মৃত্যুর মোট সংখ্যা ১৬ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে দৈনিক সংক্রমণের হার বা ‘পজিটিভিটি রেট’। তবে কলকাতায় দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের থেকে নিম্নমুখী হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭ হাজার ৯১৩ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যা গত ১৭ এপ্রিলের পর সবচেয়ে কম। ওই দিন স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ছিল ৭ হাজার ৭১৩। উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৬৮৬। সেই সঙ্গে, ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছে আরও ৮৯৯ জন। পাশাপাশি, হাওড়া (৬৩২), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৫২৪) এবং জলপাইগুড়ি (৫১০) জেলায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০-র গণ্ডি পার করেছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লক্ষ ১১ হাজার ৪৪৮ জন।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৬ হাজার ৩৪ জন কোভিডে মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ১১৩ জন। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে ২৫ ও ২৩। এ ছাড়া, হাওড়ায় ১২, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯, নদিয়া এবং হুগলিতে ৭ জন করে মারা গিয়েছেন। জলপাইগুড়িতে ৫, দার্জিলিং এবং পূর্ব বর্ধমানে ৪ জন করে আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ এবং পশ্চিম বর্ধমানে ৩ জন করে সংক্রমিত মারা গিয়েছেন। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ২ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বীরভূম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ জন করে আক্রান্ত মারা গিয়েছেন।
রাজ্যে টিকাকরণের সংখ্যা আগের থেকে বেড়েছে। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৭২ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। যদিও কোভিড টেস্টের আগের থেকে কম হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টা কোভিড টেস্ট হয়েছে ৭১ হাজার ২০৬টি। তবে সংক্রমণের মোট হার আগের দিনের মতোই ১১.১০ শতাংশ রয়েছে। যদিও এর দৈনিক হার বেড়ে হয়েছে ১২.৩৭ শতাংশ।