দাবি মতো ডিএ দিতে গেলে রাজ্যে কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে বলে জানালেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে এ বার মন্তব্য করলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মতে, আন্দোলনকারীদের দাবি মতো ডিএ দিতে গেলে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে!
উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের পাতুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে শোভনদেব বলেন, ‘‘এই ডিএ-টি দিতে গেলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকাটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কন্যাশ্রীর টাকাটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’’
এর পরেই জনতার উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আপনি আপনার বুকে হাত রেখে বাড়িতে গিয়ে ভাববেন, শোভনদেববাবু যে কথাটা বললেন, যে গরিবের কথাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাববেন, না কি যে লোকটা (সরকারি কর্মচারী) ইতিমধ্যেই পাচ্ছেন তাঁকে একটু বেশি পয়সা দেবেন? কোনটা ঠিক সেটা আপনারা বিচার করে নেবেন।’’
সাম্প্রতিক নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশের নাম জড়িয়ে যাওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গও এসেছে মন্ত্রী শোভনদেবের বক্তৃতায়। তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘আমার গাড়ির পাশে কিছু সিপিএমের লোক ‘চোর চোর’ বলল। আমাকে যে দিন কেউ চোর প্রমাণ করতে পারবে সে দিন সকলের আগে আমি দল ছেড়ে দেব, কাউকে বলতে হবে না। বদনাম নিয়ে আমি রাজনীতি করি না।’’ এর পরে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমার দু’টি ছেলে। একটি ছেলে যদি সঙ্গদোষে নষ্ট হয়ে যায়, গোটা পরিবারটি কিন্তু খারাপ হয় না।’’
নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে সিপিএমকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘আসুক কে আছে সিপিএমের আমার সামনে, আমি প্রমাণ দেব তারা কত অধ্যাপকের চাকরি দিয়েছেন। সিপিএম হচ্ছে চালাক চোর। যে লোকটাকে চাকরি দিয়েছে সারা জীবন তার টাকা বেতন পাওয়ার আগে পার্টি অফিস থেকে কেটে নিয়ে যাবে। দেখতে গেলে ওরা আমাদের লোকেদের থেকে বেশি টাকা নিয়েছে।’’ দুর্নীতিকে যে তিনি কখনও সমর্থন করেননি তা-ও জানিয়েছেন শোভনদেব। বলেছেন, ‘‘আমাদের লোকগুলো যারা চোর, চুরি করছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। যাতে আর কেউ সাহস না করে চুরি করার।’’