এই বাজেট কর্মসংস্থানমুখী বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র ।
বিধানসভায় পেশ হল রাজ্যের বাজেট। এই বাজেট কর্মসংস্থানমুখী বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর ২টোয় বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধি-সহ একাধিক বড় ঘোষণা রাজ্যের। ঘোষণা করা হল নতুন অনেক প্রকল্পেরও। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক চলতি অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেটে বাংলার মানুষের হাতে এল কী কী?
৩ শতাংশ ডিএ: রাজ্য সরকারের বেতনভোগী এবং অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীদের ৩ শতাংশ হারে মহার্ঘভাতা।
বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল: বিধায়কদের এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প (বিইইউপি) কর্মসূচিতে এলাকা উন্নয়নের খাতে বাৎসরিক ৬০ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৭০ লক্ষ টাকা।
রাস্তাশ্রী প্রকল্প: রাস্তাশ্রী প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ তিন হাজার কোটি টাকা। তৈরি হবে ১১ হাজার কিলোমিটার রাস্তা। সারাই হবে পুরনো রাস্তাও।
ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড: ১৮-৪৫ বছর বয়সি ২ লক্ষ যুবক-যুবতীর আর্থিক সহায়তা বাবদ সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকার ঋণের ঘোষণা। সুযোগ কর্মসংস্থানেরও।
লক্ষ্মীর ভান্ডার: বাংলার ১.৮৮ কোটি মহিলা, যাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রাপক, তাঁরা ৬০ বছর পেরোলেই সরাসরি বার্ধক্যভাতার আওতায়।
ডেউচা-পাঁচামিতে কর্মসংস্থান: ডেউচা-পাঁচামিতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা। চাকরি হতে পারে লক্ষাধিক যুবক-যুবতীর।
রাস্তাশ্রী প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ তিন হাজার কোটি টাকা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
চামড়া শিল্প: চামড়া শিল্পে বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা। বানতলার লেদার কমপ্লেক্সে ৩ লক্ষ কর্মসংস্থানের পর আরও ২ লক্ষ চাকরির ঘোষণা।
স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়: স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় আরও ৬ মাস বৃদ্ধির ঘোষণা। বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটির ২ শতাংশ এবং জমি-বাড়ির বাজারমূল্যের সার্কল রেটের ১০ শতাংশ ছাড়ের মেয়াদ আরও ছ’মাস বৃদ্ধি।
আর্থিক বৃদ্ধির হার: রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৪১ শতাংশ হওয়ার ঘোষণা।