প্রতীকী ছবি।
করোনার দৌরাত্ম্য শুরু হওয়ার পর থেকে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা কমবেশি ধাক্কা খেয়েছে বলে চিকিৎসক শিবিরের একাংশ এবং ভুক্তভোগীদের অভিমত। তবে কার্ডিয়োভাস্কুলার, ক্যানসার, ডায়াবিটিস, সিওপিডি এবং ক্রনিক কিডনির অসুখের মতো ‘নন-কমিউনিকেবল ডিজ়িজ়’ (এনসিডি)-এর চিকিৎসায় কোনও খামতি রাখতে রাজি নয় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। তাই ‘এনসিডি’ মোকাবিলায় সম্প্রতি রাজ্য ও জেলা স্তরে ‘মাল্টিসেক্টরাল কনভারজেন্স কমিটি’ গড়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিবিরের পর্যবেক্ষণ, তামাকের ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর খাবার, শারীরচর্চার অভাব, মদ্যপান-সহ বিবিধ কারণে ওই সব রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। যার শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। ৮৫ শতাংশ করোনা আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রেও ওই সব রোগ দেখা গিয়েছে কোমর্বিডিটি হিসেবে। ইতিমধ্যেই সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ওই সব রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। স্বাস্থ্য শিবিরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নন-কমিউনিকেবল ডিজ়িজ়ের একটা বড় অংশ চিকিৎসায় সারানো সম্ভব। কিন্তু তার জন্য কিছু নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও সচেতনতার প্রয়োজন। তাই প্রশাসনের সব স্তর ও বিভাগকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।’’
মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে রাজ্য স্তরের ওই কমিটিতে স্বাস্থ্য, পঞ্চায়েত, শিক্ষা, পর্যটন, শ্রম-সহ বিভিন্ন দফতরের শীর্ষ কর্তাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্তা এবং জ্যোর্তিময় পাল, সুজয় ঘোষ, শ্রীকৃষ্ণ মণ্ডলের মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে রাখা হয়েছে। জেলাশাসকের নেতৃত্বে সব জেলায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, মেডিক্যাল কলেজ বা জেলা হাসপাতালের অধ্যক্ষ-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের রাখা হয়েছে কমিটিতে। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের জারি করা নির্দেশিকায় বিভিন্ন দফতরের ভূমিকা ও কর্তব্য স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।