rupa ganguly

পুরনো রূপে রাজনীতির ময়দানে রূপা? নেতৃত্বের নির্দেশে পথে ফিরলেন বিজেপি সাংসদ

বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী থাকার সময়ে নিয়মিত আন্দোলনে দেখা গেলেও সাংসদ হওয়ার পরে নিজেকে যেন অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছিলেন রূপা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২১ ১৯:০৪
Share:

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সাংসাদ হওয়ার আগে। ফাইল চিত্র

আবার পথে বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতায় মেয়ো রোডে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে গ্রেফতার হন। শনিবারও তাঁকে দেখা গেল রাজভবনে। হাজির ছিলেন মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় প্রধান ভনতি শ্রীনিবাসন। তবে মূলত রূপার নেতৃত্বেই শনিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় মহিলা মোর্চার প্রতিনিধি দল। ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের পাশাপাশি মহিলাদের উপরে অত্যাচার চলছে বলে অভিযোগ জানান তাঁরা।

Advertisement

বিজেপি মহিলা শাখার রাজ্য সভানেত্রী থাকার সময়ে নিয়মিত রাস্তায় নেমে আন্দোলনে দেখা গেলেও রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার পরে নিজেকে যেন অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছিলেন রূপা। তিনি সে ভাবে কাজে নামতে চাইছেন না বলেই অভিযোগ ছিল বিজেপি শিবিরে। তবে বিধানসভা নির্বাচন পর্বে রাজ্য বিজেপি-র ‘পরিবর্তন যাত্রা’-য় অংশ নেন। যদিও ভোটের প্রচার পর্বে তাঁকে খুব বেশি দেখা যায়নি। কিন্তু নির্বাচনে বিজেপি-র ভরাডুবির পরে পর পর দু’দিন সদ্য করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া রূপাকে রাস্তায় নামতে দেখে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি তাঁকে আবার পুরনো ভূমিকায় দেখা যাবে? রূপা বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই আমি শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশে গিয়েছি। গাঁধী মূর্তির পাদদেশে কয়েক জন মিলে বিক্ষোভ দেখাতে যাই। কিন্তু পুলিশ করোনা বিধি ভাঙা হচ্ছে এই অজুহাতে আমাদের গ্রেফতার করে। শনিবার রাজভবনেও গিয়েছি। এখন রাজ্যের যা অবস্থা তাতে চুপ করে বসে থাকা সম্ভব নয়। বিজেপি করা দূরের কথা, পদ্ম প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্যও মার খেতে হচ্ছে সাধারণ ভোটারদের। রোজ ফোনের পর ফোন পাচ্ছি। সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া কিছুই করতে পারছি না। সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করে রাজ্যপাল কিছু করতে পারেন এমন আশা নিয়েই আজ গিয়েছিলাম।’’ এ বার কি তাঁকে নিয়মিত আন্দোলনে দেখা যাবে? রূপা বলেন, ‘‘সে ভাবে কিছু ঠিক করিনি। তবে নেতৃত্ব যা করতে বলবেন তাই করব। এখন চুপ করে বসে থাকার সময় নয়।’’

শনিবার রাজভবনে।

শুক্র ও শনিবারের কর্মসূচিতে অবশ্য হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ছিলেন না। রাজ্য মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সভানেত্রী লকেট জানিয়েছেন, ‘‘আমার লোকসভা এলাকায় কর্মীদের পাশে রয়েছি আমি। সেই কারণে কলকাতার কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।’’

Advertisement

অন্য দিকে, শুক্রবার বিক্ষোভে অংশ নিলেও শনিবার রাজভবনে ছিলেন না মোর্চার বর্তমান রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। আসানসোল উত্তরের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা জানিয়েছেন, অসুস্থতার কারণেই তিনি যেতে পারেননি রাজভবনে।

বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে মহিলা নেত্রীরা সকলেই পথে নামুন। সেই কারণেই লকেট, অগ্নিমিত্রার পাশাপাশি রূপাও পথে নামুন। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সফল মুখ রূপা ‘মহাভারত’ ধারাবাহিকে দ্রৌপদী চরিত্রে অভিনয় করে সর্বভারতীয় পরিচিতি পান। রাজনীতিতে আসেন ২০১৫ সালে। ২০১৬-র নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন হাওড়া উত্তর কেন্দ্রে। জয় না পেলেও সেই বছরই রাজ্যসভায় সাংসদ মনোনিত হন। মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী থাকার সময়ে আক্ষরিক অর্থেই কোমরে আঁচল বেঁধে রাজনীতির ময়দানে নেমেছিলেন রূপা। কলকাতায় কিংবা জেলায় কখনও একা, কখনও লকেটকে পাশে নিয়ে ‘রুদ্র’ রূপে দেখা যেত রূপাকে। আবার তেমন দিন ফিরতে পারে বলে মনে করছে রাজ্য বিজেপি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement