Cyclone Dana

বাংলার উপকূলে ১৪ ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে ঢেউ! ‘দানা’র ‘ল্যান্ডফলের’ সময় কতটা উত্তাল হবে সমুদ্র?

সমুদ্রে ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে এগোচ্ছে ‘দানা’। অভিমুখ উত্তর-পশ্চিম। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে তার ‘ল্যান্ডফল’ হতে পারে। সেই সময় প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৫৫
Share:

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি উঁচু হবে ঢেউ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে তার সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডফল’ হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে জলোচ্ছ্বাস প্রবল হতে পারে, সতর্ক করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে সর্বোচ্চ ১৪ ফুটেরও বেশি!

Advertisement

সমুদ্রে ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ‘দানা’। অভিমুখ মূলত উত্তর-পশ্চিম। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে ‘দানা’ আছড়ে পড়তে পারে। ওই সময়ে অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা হবে সবচেয়ে বেশি। পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে থেকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে ঢেউ উঠতে পারে ৯.৮৪ ফুট থেকে ১৪.৪৩ ফুট পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে উপকূল খালি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নৌকা, ছোট ছোট জলযান নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে বলেছে হাওয়া অফিস।

আলিপুর থেকে শেষ প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, ‘দানা’ ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব, ধামারা থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে রয়েছে।

Advertisement

ইতিমধ্যে ‘দানা’র মোকাবিলায় তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে দিঘা, মন্দারমণির মতো উপকূলঘেঁষা এলাকায়। পর্যটকদের আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উপকূল সংলগ্ন এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। যাঁদের কাঁচা বাড়ি রয়েছে, তাঁরা ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের এক কর্তা জানান, পশ্চিমবঙ্গে ‘ল্যান্ডফল’ না হলেও ‘দানা’য় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। সেখানে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঝড়ের গতি হতে পারে ১০০ কিলোমিটারের বেশি। সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে। এ ছাড়া, সুন্দরবন-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু অংশ ‘দানা’র তাণ্ডবের সাক্ষী থাকবে। ঝড়ের গতি হতে পারে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। কলকাতায় ঝড় বইতে পারে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে হলদিয়া এবং কলকাতা বন্দরেও।

‘দানা’র প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় শুক্রবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। একই সম্ভাবনা রয়েছে ঝাড়গ্রামেও। তবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতেও শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি ভারী বর্ষণের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই সতর্কতা রয়েছে শুক্রবার ঝাড়গ্রামে। দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি চলবে শনিবারও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement