প্রদেশ কংগ্রেসের শিক্ষক দিবস উজ্জাপন। নিজস্ব চিত্র
শিক্ষক দিবসে রাজ্যের নীতি ও শিক্ষকদের হাল নিয়ে তরজায় বাধল বিরোধী ও শাসকের। রাজ্যের নানা জায়গায় রবিবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘অন্যায় ভাবে বদলি’র প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সম্প্রতি বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহননের চেষ্টা করেছিলেন যে শিক্ষিকারা, তাঁদের এক জনকে দেখতে এ দিন আর জি কর হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘নিজের অধিকার ও মর্যাদার জন্য লড়াই করা এই শিক্ষিকাকে প্রণাম জানিয়ে গেলাম। এক জন সামান্য বেতনের শিক্ষিকাকে দিনহাটায় বদলি করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব এই দমন-পীড়নের পথ থেকে সরে আসতে।’’ পার্শ্ব-শিক্ষকদের একাংশ এ দিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বাড়ির কাছে দাবি জানানোর চেষ্টা করেছিলেন। ব্রাত্য পাল্টা বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় বহু শিক্ষক কাজ হারিয়েছেন। এখানে পার্শ্ব-শিক্ষকদের কোনও সমস্যা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অনেক মানবিক। তবু কর্মসংস্থান আটকাতে নানা রকমের আন্দোলন হচ্ছে।’’
প্রদেশ কংগ্রেসের দফতর বিধান ভবনে এ দিন শিক্ষক দিবসের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকাররের নতুন শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রত্যেকটি বিজেপি বিরোধী দলকে একসঙ্গে দিল্লি যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মুক্ত চিন্তার পরিবেশ নষ্ট করতে আলোচনা ছাড়াই যে ভাবে পাঠ্যক্রম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। পাশাপাশিই প্রদীপবাবুর প্রশ্ন, ‘‘আত্মহত্যার চেষ্টা আমাদের দেশের আইনের প্রেক্ষিতে অপরাধ কিন্তু মানুষ কখন আত্মহত্যা করতে যায়? সেই মানবিকতাও কি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর থাকবে না? ওই শিক্ষকদের তিনি একটা পার্টির কর্মী বলেই নিজের দায়িত্ব পালন করলেন!’’ অনুষ্ঠানে ছিলেন অসিত মিত্র, অমিতাভ চক্রবর্তী, শুভঙ্কর সরকার, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ প্রসাদ প্রমুখ।