Murder

Unnatural Death: মধ্যবয়সির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ফলতায়, তরজায় তৃণমূল এবং বিজেপি

তৃণমূলের দাবি, আত্মহত্যা করেছেন তাদের দলের কর্মী। তবে ওই ব্যক্তিকে নিজেদের কর্মী বলে বিজেপি-র পাল্টা দাবি, তিনি তৃণমূলের সন্ত্রাসের বলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফলতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২১ ১৮:২৬
Share:

রবিবার সকালে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় অরিন্দম মিদ্দের দেহ। —নিজস্ব চিত্র।

এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর তাকে ঘিরে তৃণমূল এবং বিজেপি-র তরজা শুরু হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায়। দু’দলেরই দাবি, মৃত ব্যক্তি তাদের দলের কর্মী। তৃণমূলের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে আত্মহত্যা করেছেন তাদের দলের বুথস্তরের ওই মধ্যবয়সি কর্মী। তবে ওই ব্যক্তিকে নিজেদের কর্মী বলে বিজেপি-র পাল্টা দাবি, তৃণমূলের সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অরিন্দম মিদ্দে ( ৪০)। রবিবার সকালে পাঁচলকি গ্রামে অরিন্দমের বাড়ির অদূরে একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে অরিন্দমের দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃদ্ধা মা-র সঙ্গে থাকতেন অরিন্দম। শনিবার বিকেল নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রবিবার সকালে বাড়ির কাছের মাঠলাগোয়া একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁর দেহটি। ফলতা থানায় খবর দেওয়া হলে দেহটি উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ।

জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন অরিন্দম। বুথস্তরে দলের একাধিক দায়িত্বও সামলাতেন। পারিবারিক বিবাদের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে এই দাবি নস্যাৎ করে বিজেপি-র পাল্টা দাবি, গত লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন অরিন্দম। বিজেপি কর্মী হিসেবে বিধানসভা ভোটে কাজও করেছেন। সে কারণেই তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতীরা অরিন্দমকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি-র। ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার বিজেপি-র সহ-সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, “গোটা ফলতা এলাকা জুড়েই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। আজ (রবিবার) আমাদের কর্মীকে মেরে গাছে টাঙিয়ে দিল। দলের তরফে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

Advertisement

তবে বিজেপি-র অভিযোগ উড়িয়ে ফলতার যুব তৃণমূল সভাপতি জাহাঙ্গfর খান বলেন, “ভোটে হেরে গিয়ে উল্টোপাল্টা বলছে বিজেপি। আমাদের দলের মৃত কর্মীকেই এখন বিজেপি-র তকমা লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু কোনও লাভ নেই। মানুষ আসল সত্যটা জানেন।”

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement