লকডাউনের নির্দেশিকার পর মাথায় হাত বহু মিষ্টি ব্যবসায়ীর। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য জুড়ে কার্যত লকডাউনের জেরে তাঁদের ব্যবসা মার খাচ্ছে বলে দাবি বর্ধমানের মিষ্টি ব্যবসায়ীদের। সরকারের কাছে তাঁদের আবেদন, সময় পরিবর্তন করে সকাল-সন্ধ্যা, দু’বেলাই আংশিক সময়ের জন্য মিষ্টির দোকান খোলা রাখা হোক। রবিবার এই মর্মে রাজ্যের সহযোগিতা চেয়েছেন বর্ধমান সীতাভোগ-মিহিদানা ট্রেজারার সুরক্ষা অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি প্রমোদকুমার সিংহ।
করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে রাজ্য জুড়েই কার্যত লকডাউন চলছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ লোকাল ট্রেন, বাস, মেট্রো, শপিং মল, রেস্তরাঁ-সহ একাধিক পরিষেবা। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, সকাল ৭টা থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত খোলা সব্জি-মাছ-মাংসের দোকানবাজার। মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে সে নির্দেশিকার পর মাথায় হাত বহু মিষ্টি ব্যবসায়ীর। বর্ধমান স্টেশন চত্বর এলাকার এক মিষ্টি ব্যবসায়ী দীপক গুপ্ত বলেন, “লকডাউনের জন্য বাস-অটো-টোটো, সব বন্ধ। বাজারেও লোকজন নেই। সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত লোকজন থাকে। এর পর রাস্তাঘাট পুরোপুরি ফাঁকা। সে জন্য মিষ্টির দোকানেও ক্রেতা নেই। এ রকম চলতে থাকলে মিষ্টির দোকান বন্ধ করে দিতে হবে।”
লকডাউনের নির্দেশকে স্বাগত জানালেও ব্যবসার খাতিরে মিষ্টির দোকান খোলার রাখার সময় পরিবর্তনের আর্জি ব্যবসায়ীদের। প্রমোদকুমার বলেন, “রাজ্য সরকারের লকডাউনের নির্দেশকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু, আমাদের ব্যবসার কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দোকান খোলা রাখার সময় বদলান, তা হলে ভাল হয়। সরকারের কাছে সময় পরিবর্তনের জন্য আবেদন করব যাতে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা আর বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা রাখা যায়।”