আচার্য বিল নিয়ে হিসেব নিকেশ বদলে গেল। ফাইল চিত্র
রাত বাড়তেই বদলে গেল আচার্য বিলের ভোটের অঙ্ক। প্রথমে ভোটাভুটির ফল ১৮২-৪০ বলা হলেও, সোমবার রাতে জানা গিয়েছে, ফল ১৬৭-৫৫।অর্থাৎ বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৬৭, বিপক্ষে ৫৫।
সোমবার বিধানসভায় সরকারের তরফে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ল (সংশোধনী) বিল, ২০২২’ পেশ করা হয়। বিলটি পেশ করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শাসক-বিরোধী শিবিরের আলোচনার পর বিলের বিরোধিতা করে ভোটাভুটি চান বিজেপি বিধায়কেরা। দাবি মেনেই ভোটাভুটি হয়। সেই ভোটে পাশ হয় বিলটি। প্রথমে জানা গিয়েছিল, বিলের পক্ষে পড়েছে ১৮২টি, বিপক্ষে ৪০। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই ফল ঘোষণা করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়কেরা। তাঁরা দাবি করেন, অধিবেশনে উপস্থিত ৫৭ জন বিধায়করা সকলেই বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। অথচ, তাঁদের ভোট সংখ্যা ৪০ বলা হয়েছে! স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে বিজেপি বিধায়করা কী ক্রস ভোটিং করেছেন? নাকি ভোটদানে পদ্ধতিগত ভুল করেছেন?
অন্য দিকে, ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের ১৮২ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। সকলেই ভোট দিয়েছেন।’’আচার্য বিল পাশের পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে অভিযোগ জানাতে যান বিজেপি বিধায়কেরা। তাঁরা বিরোধী দলনেতাকে জানান, সবাই দলের নির্দেশ মেনেই বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। অথচ তাঁদের ভোট সংখ্যা কমিয়ে বলা হচ্ছে। ঘটনার কথা শুনে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘এই ভোটেও কারচুপি! বিধানসভার অন্দরের ভোটের ফল নিয়েও আদালতে যাব আমরা।’’
কিন্তু রাতের পরিবর্তিত ফল জানার পরেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।তবে ৫৫ জন বিধায়কের ভোট নিশ্চিত হওয়ার খবরে স্বস্তি ফিরেছে গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু শাসকদলের ১৫ জন বিধায়কের ভোট কেন বাতিল হল, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার তৃণমূল পরিষদীয় দলে এ বিষয়ে আলোচনা হবে বলেই সূত্রের খবর। বিজেপি-রও দু’জন বিধায়কের ভোট বাতিল হয়েছে বলেই বিধানসভা সূত্রে খবর।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।